আবুল কালাম চট্টগ্রাম:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (সিএমপি) পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ৭ অক্টোবর,) নগরীর দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি অন্যান্য সংস্থা ও দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ে উপস্থিত ছলেন।

উক্ত সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম।

সভায় করোনার এই প্রাদুর্ভাব পরবর্তী সময়ে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২১ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূজা উদযাপনের ক্ষেত্রে
সরকারি অন্যান্য সংস্থা ও দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের দায়িত্ব ও ভূমিকা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূজা উদযাপনের ক্ষেত্রে নগরীর জনসাধারণকে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসমূহ পালন করতে হবে-

১. পূজামন্ডপসমূহের প্রবেশমুখে পুরুষ ও নারীর জন্য পৃথক ভাবে হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও থার্মাল স্ক্যানার রাখা।
২. পূজামণ্ডপে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।
৩. মন্ডপের চারদিকে বা উপরের অংশ উন্মুক্ত রাখা।
৪. মন্ডপের ভিতরে অধিক লোক অবস্থান না করা।
৫. প্রসাদ তৈরী ও বিতরণ সীমিত পর্যায়ে করা।
৬. প্রতিমা তৈরির সময় নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা।
৭. মন্ডপের প্রবেশমুখে ভীড় নিয়ন্ত্রণ করা এবং দর্শনার্থী আগমনে নিরুৎসাহিত করা।
৮. সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করা।
৯. জরুরী সেবাদানকারীদের ফোন ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করা।
১০. বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জেনারেটর প্রস্তুত রাখা।
১১. বিদ্যুতের ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ দ্রুত মেরামত করা।
১২. সার্বক্ষনিক একজন ইলেকট্রিশিয়ান নিয়োগ করা।
১৩. নিরাপদ স্থানে পূজা মন্ডপ স্থাপন করা।
১৪. হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা।
১৫. ফায়ার এক্সটিংগুইসার এর ব্যবস্থা করা।
১৬. পানির ব্যবস্থা করা।
১৭. পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরী সেবার নম্বরসমূহ দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা
১৮. মন্দির বা পূজামন্ডপে কোন প্রকার থিম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা ডিজে পার্টি না করা।
১৯. পূজা কমিটি নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব থাকলে নিজেরা অথবা মহানগর পূজা কমিটির সাথে আলোচনা করে মীমাংসা করা।
২০. অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টি থেকে সতর্ক থাকা। অপরিচিত ব্যক্তির দেয়া কোন কিছু খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকা।
২১. নামাজ ও আযানের সময় সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখা।
২২. নির্দিষ্ট পার্কিং ব্যতিত যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করা।
২৩. নারীরা যেন ইভটিজিং এর শিকার না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৪. পূজামন্ডপে আগত মহিলাদের উত্যক্ত/ইভটিজিং প্রতিরোধ করা।
২৫. পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমন পথ তৈরী করা।
২৬. মহিলা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করা।
২৭. পূজামন্ডপের ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক সার্বক্ষণিক নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা।
২৮. স্বেচ্ছাসেবকদের চেনার সুবিধার্থে গেঞ্জি/ক্যাপ/আর্মডব্যান্ড ব্যবহার করা।
২৯. স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট প্রেরণ করা।
৩০. ঘটনার সংবাদ দ্রুততার সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা।
৩১. মদ ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য গ্রহন করা থেকে বিরত থাকা।
৩২. পূজা মন্ডপের আশেপাশে মেলা বা জুয়ার আসর না বসানো।
৩৩. কোন ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকা।
৩৪. যেকোনো ধরনের গুজব বা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে নিকটস্থ থানা বা পুলিশ কে অবহিত করা।
এসময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব মোঃ শামসুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার(সদর) জনাব মোঃ আমির জাফর অন্যান্য উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, সহকারী পুলিশ কমিশনারগণ , অফিসার ইনচার্জগণ, র‍্যাব, এপিবিএন, এনএসআই, ডিজিএফআই, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও ভিডিপি এর প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম মহানগরীর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপত এ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার ও সেক্রেটারী শ্রী প্রকাশ দাশ সহ সকল থানার পূজা উদযাপন কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।