নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এবারের বাজেটে পর্যটন খাতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। কক্সবাজারের চারশতাধিক হোটেল, মোটেলসহ দেশের পর্যটন স্পটসমূহের উন্নয়নে কোন ঘোষণা আমরা পাইনি। করোনার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার পর্যটনসেবী, পর্যটন উদ্যোক্তা, পর্যটন ব্যবসায়ীসহ কোন মহলের আশার বাণী নেই।
প্রস্তাবিত বাজেট দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে বাধা সৃষ্টি করবে বলে আমরা মনে করি।

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি ও বে-অব বেঙ্গল ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তোফায়েল আহমদ গণমাধ্যমকে এই প্রতিক্রিয়া জানান।

আজ শনিবার (১৩ জুন) রাতে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছি। এই শিল্পে নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ পরিবারের ব্যাপারে বাজেটে কোন বরাদ্দ বা সুসংবাদ না থাকা মানে দেশের পর্যটন খাতকে পেছনে ঠেলে দেয়া। অথচ এই খাত থেকে সরকার প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। পর্যটনকে সঠিক মূল্যায়ন না করলে বিদেশমুখি হয়ে যাবে দেশীয় পর্যটকেরা। সেইসাথে বাইরের ভ্রমণ পিয়াসি মানুষগুলো বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে।

টুয়াক সভাপতি তোফায়েল আহমদ আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় আয়ের সিংহভাগ পর্যটন খাত থেকে। এই খাতকে অবলম্বন করেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের সমপর্যায় বা আরো নীচু মানের অনেক দেশ। আমরা চাইলে পর্যটন খাতকে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চালিকার অন্যতম চাকা হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার অনেক কিছু করেছে। কক্সবাজারকেন্দ্রীক মেগা প্রকল্পসমূহ অনন্য দৃষ্টান্ত। পর্যটন শিল্প বিকাশে তিনি চাইলে আরো অনেক কিছু করতে পারবেন।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সৈতক নগরীকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট চূড়ান্ত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উল্লেখ্য, ১১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন।