ডেস্ক
জাকাত আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত বান্দার জন্য ফরজ ইবাদত। যে ব্যক্তির কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর থাকবে, তাকে সে সম্পদের ২.৫% শতকরা আড়াই ভাগ জাকাত আদায় করা ফরজ।
কেননা আল্লাহ তাআলা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের জন্য জাকাত আদায়কে ফরজ করেছেন। আবার জাকাতের ফরজিয়ত আদায়ের মধ্যে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রেখেছেন অনেক উপকারিতা। আর তাহলো..

– জাকাত যদিও বাহ্যিকভাবে সম্পদের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। প্রকৃত পক্ষে জাকাতের প্রভাবে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, ধন-সম্পদে বরকত হাসিল হয়। জাকাত আদায়কারীর অন্তরে ঈমান বৃদ্ধি পায়। জাকাত আদায়কারীর চরিত্রিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

– সম্পদের জাকাত আদায়ের মাধ্যমে নফসের ভালোবাসার জিনিসের চেয়েও ঊর্ধ্বে থেকে আল্লাহর ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেয়া। আর আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমে মানুষ পরকালের সফলতা লাভ করতে পারে।

– আল্লাহ তা‘আলা জাকাতকে বিধি-বিধান করেছেন এবং তা আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান করেছেন। কারণ জাকাত নফস বা আত্মাকে অর্থের কার্পণ্য ও স্বার্থ থেকে পবিত্র করে।

– এ জাকাত ধনী ও গরিবের মাঝের শক্তিশালী এক সেঁতুবন্ধন তৈরি করে। এর দ্বারা আত্মা পরিচ্ছন্নতা লাভ করে এবং অন্তরে প্রশান্তি আসে।

– জাকাত তার আদায়কারীর নেকি অধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয় এবং সম্পদকে দুনিয়ার যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত করে। সম্পদ বৃদ্ধি হয়।

সম্পদশালী ব্যক্তির উচিত, গরিব অসহায়দের জন্য আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত জাকাত আদায় করা। যাতে রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ এবং কার্যকর হয় আল্লাহ তাআলার সুমহান বিধান।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নির্ধারিত বিধান মোতাবেক জাকাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।