বশিরুজ্জামান
“আসছে ফাগুন”
আসছে ফাগুন হাসছে আগুন
কৃষ্ণচূড়ার ঢালে,
লাগলো হাওয়া মিষ্টি হাওয়া
জীবন-তরীর পালে।
শিমুল-পলাশ উঠছে হেসে
উঠছে হেসে চাঁদ,
হাসির জোয়ার মন-সাগরে
ভাঙছে খুশির বাঁধ।
করছে পাখি ডাকাডাকি
নতুন দিনের সুরে,
পূর্বাকাশে সূর্য হাসে
শিশির মাখা ভোরে।
নদীর বুকে সুখের হাওয়া
লাগলো দেখো আজ,
প্রজাপতি রঙ মেখে গায়
করছে বিষণ সাজ।
সুখপাখিরা উড়ে আসুক
এই জীবনের চরে,
ভালোবাসা বাঁধুক বাসা
সব হৃদয়ের পরে।
“ফাগুন মানে”
ফাগুন মানে ছন্দ,
কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে
নতুন ফুলের গন্ধ।
ফাগুন মানে সুর,
সুরের টানে পূর্বাকাশে
হাসে নতুন ভোর।
ফাগুন মানে গান,
মিষ্টি মধুর কোকিল সুরে
জুড়ায় সবার প্রাণ।
ফাগুন মানে হাসি,
ফাগুন রাঙ্গা বাংলা আমার
বড্ড ভালোবাসি।
ফাগুন মানে খুশি,
এক ফাগুনের নন্দগুলো
সারাবছর পুষি।
“ফাগুন এলে”
ফাগুন এলেই গাছের ডালে
ফোটে রঙিন ফুল,
পাখির কণ্ঠে জেগে ওঠে
মিষ্টিমাখা বুল।
ফাগুন এলেই নদীর বুকে
লাগে সুখের দোল,
ছলাৎ ছলাৎ শব্দে হাসে
পদ্মানদীর কূল।
ফাগুন এলেই বাংলা আমার
নতুন রঙে সাঝে,
সারাদেশে মন ভুলানো
সুখের বাদ্য বাজে।
ফাগুন এলেই শিশু-কিশোর
মেতে উঠে নন্দে,
মৌমাছিরা ঘর ছেড়ে যায়
মাতাল করা গন্ধে।
ফাগুন এলেই আগুন জ্বলে
কৃষ্ণচূড়ার ডালে,
সুখের হাওয়া লাগলো সবার
জীবন তরীর পালে।
“ফাগুন এলো ফাগুন”
ফাগুন এলো ফাগুন,
দেশপ্রেমিকের শক্তি বুকে
আবার একটু জাগুন।
ভাষার জন্য সেদিন যারা
বিলিয়ে দিলো প্রাণ,
তাঁদের জন্য শ্রদ্ধা ভরে
গাই বিজয়ের গান।।
ফাগুন এলো ফাগুন,
মনের মাঝে আজও জ্বলে
প্রতিশোধের আগুন।
সেদিন যারা ভায়ের বুকে
করেছিলো গুলি,
তাদের তরে ছুড়ে দিলাম
মন্দ-ঘৃণার ঝুলি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।