প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী ও স্থানীয় জনগনের চক্ষু চিকিৎসা ও সেবা দিতে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, Qatar Fund for Development (QFFD) এর অর্থায়নে Orbis International Bangladesh পারিচালিত QCV Expanding Eye Care in South East Bangladesh প্রকল্পটি কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী ও স্থানীয় জনগনের চোখের চিকিৎসায় জরুরী ও প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করবে।
৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সৈকত নগরী কক্সবাজারস্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়েOrbis International Bangladesh ও কক্সবাজার বায়তুস্ শরফ হাসপাতালের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে সই করেন Orbis International Bangladesh-Gএর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ ও কক্সবাজার বায়তুস্ শরফ হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারি এম. এম. সিরাজুল ইসলাম। এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-সচিব জনাব মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান, Orbis International-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মি. বব র্যাঙ্ক এবং বায়তুশ শরফের পীর, হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট হযরত মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (ম.জি.আ) উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সরকারী কর্মকর্তা, বায়তুস্ শরফ হাসপাতালের প্রতিনিধিসহ Orbis International Bangladesh-এর ডিরেক্টর অফ প্রোগ্রামস্ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: ইকবাল হোসেন ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর পারভেজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Qatar Fund for Development বাংলাদেশে ২০১৬ সাল থেকেOrbis International Bangladesh এর মাধ্যমে QCV Expanding Eye Care in South East Bangladesh নামক একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এরই আওতায়Orbis International Bangladesh প্রকল্পটি রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী ও স্থানীয় জনগনের জরুরী চক্ষু চিকিৎসা প্রদানসহ কক্সবাজার জেলার স্থানীয় অধিবাসীদের চোখের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
Orbis International Bangladesh এ প্রকল্পের স্থানীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার বায়তুস্ শরফ হাসপাতালের মাধ্যমে উখিয়া ও টেকনাফের অস্থায়ী শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী ও স্থানীয় জনগনের প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় চক্ষু চিকিৎসা ও সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করবে। পাশাপাশি, মহেশখালী ও চকরিয়ার জনগণকে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসাসহ অদূর ভবিষ্যতে কক্সবাজার বায়তুস্ শরফ হাসপাতালে একটি বিশেষায়িত শিশু বান্ধব চক্ষু বিভাগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। শরণার্থী ক্যাম্প ছাড়া স্থানীয় জনগণের চক্ষু সেবায় ভিশন সেন্টার (প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র) স্থাপন ও মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পের শিশু ও নারীদের চক্ষু পরীক্ষা করা হবে।
দুটি ধাপে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের প্রথম বছরে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) মানুষের (যাদের ৬০% শিশু ও ৪০% প্রাপ্তবয়স্ক) চোখ পরীক্ষা করা হবে, ৮,০০০ জন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ককে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চশমা প্রদানসহ কমপক্ষে ২০ জন শিশু ও ৮৫০ জন প্রাপ্তবয়স্কের চোখের অপারেশন (চোখের জটিল ছানি ও অন্যান্য) করা হবে। এছাড়া, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ২৫০ জন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকর্মী ও চক্ষু সেবায় নিয়োজিত লোকবলের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।