=হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
বিজিবি টেকনাফের সাবরাং ৫নং স্লূইচ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মুল্যের ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। তবে ইয়াবা চোরাকারবারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
টেকনাফ-২ বিজিবির পরিচালক অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম ৩১ জানুয়ারী দুপুরে জানান ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় সাবরাং ইউপিস্থ ৫নং স্লূইচ গেইট এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপির নায়েক মোঃ বিদ্যুৎ হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল ২৯ জানুয়ারি বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ নাফ নদীর কিনারায় কেওড়া বাগানের এক পার্শ্বে ওঁৎ পেতে থাকে। ৩০ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ২.৩০ টায় টহল দল দুইজন লোককে একটি প্লাষ্টিকের বস্তা মাথায় নাফ নদীর পাড় দিয়ে আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। আকস্মিক বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই ইয়াবা পাচারকারীরা কর্দমাক্ত কেওড়া বাগানের ভেতর দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহল দল তাদের পিছু ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা তাদের সাথে থাকা প্লাষ্টিকের বস্তাটি ফেলে কেওড়া বাগানের ভেতর পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া বস্তাটি খুলে গণনা করে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মুল্যের ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে’।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।