শফিকুল ইসলাম


নিজ জন্মস্থানে যারা সমাধিস্থ হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন: তাদের একজন ভারতের শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ, অপরজন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

নির্বাসিত সম্রাট বাহাদুর শাহ তার নিয়তি সম্পর্কে অবগত হয়েই সুদুর বার্মায় কবরস্থ হয়েছিলেন অপরদিকে কবি নজরুল বাকশক্তহীন এবং বোধশক্তিরহিত অবস্থায় তার অজ্ঞাতসারে ভিনদেশের মাটিতে অর্থাৎ বাংলাদেশের মাটিতে সমাধিস্থ হন।
মানুষের একটি স্বাভাবিক আকাংখা জন্মভূমির মাটিতে সমাধিস্থ হওয়া। এক্ষেত্রে সেটিও মানা হয়নি। আমি তো মনে করি কবর থেকে কবি নজরুলের দেহাবশেষ উঠিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পুনরায় সমাধিস্থ করা হোক। তাহলে তার বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।

জন্মসূত্রে ভারতের (পশ্চিমবঙ্গের) নাগরিক কবিকে তার সম্মতি ছাড়াই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চাপিয়ে দিয়ে ভিনদেশী কবিকে জাতীয় কবি বানানো হয়।

কবির আত্মীয়স্বজন এদেশে না থাকায় তার নিঃসঙ্গ সমাধি প্রতিদিন আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীদের প্রার্থনায় মুখরিত হয়ে উঠে না।


লেখক- শফিকুল ইসলাম, উপসচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়। কবি, গীতিকার ও ব্লগার।