আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা একটি কৌশলগত এলাকা। দীর্ঘ ৬২ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে সম্প্রতি নেমেছে ভিন্ন আবহ—রাতের অন্ধকারে গুলির শব্দ কিংবা চোরাচালানকারীদের আনাগোনা অনেকটাই কমে গেছে। বিজিবির জোরদার টহল ও নজরদারির ফলে সীমান্ত এখন চোরাকারবারীদের আতঙ্কের এলাকায় পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তপথগুলো দীর্ঘদিন ধরে মাদক, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবির কঠোর অভিযান ও বাড়তি টহলের কারণে চোরাকারবারীরা পিছু হটছে।

সীমান্তে আধুনিক প্রযুক্তি, ড্রোন নজরদারি, স্পেশাল টহল দল ও রাত্রীকালীন চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় অবৈধ কার্যক্রম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, আগে রাত নামলেই গুলির শব্দ ও মাদককারবারীদের দৌরাত্ম্যে আতঙ্ক বিরাজ করত; এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিজিবি, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে।”

৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম, পিএসসি বলেন,
“সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।”