আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জুমছড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযানে ১৫টি মালিকবিহীন বার্মিজ গরু জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দকৃত গবাদিপশুর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (১০ আগস্ট) ভোররাত ৩টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েসের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল সীমান্তবর্তী জুমছড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ি চারণভূমি থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় গরুগুলো উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আনা হয়। বর্তমানে সরকারি নিলাম প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, “বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ ঠেকাতে আমাদের নজরদারি ও অভিযান নিয়মিত চলছে। মালিকবিহীন গবাদিপশুও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে, তাই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি।”

বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গবাদিপশু এনে দেশের ভেতরে পাচারের চেষ্টা করছে। এই চোরাচালান শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সীমান্ত নিরাপত্তা ও পশুসম্পদ খাতের জন্যও বড় হুমকি। বিজিবি তাই নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে এবং গত কয়েক মাসে বহু গবাদিপশু, মাদক ও অন্যান্য চোরাচালানকৃত পণ্য জব্দ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বিজিবির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এসব অভিযান সীমান্তে অবৈধ কার্যক্রম কমিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে এবং গবাদিপশু চোরাচালান রোধে স্থানীয় পশু ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হচ্ছেন।

উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে প্রায় ৫৪ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত। এর একটি বড় অংশ পাহাড়ি ও দুর্গম হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক, অস্ত্র, গবাদিপশু ও অন্যান্য পণ্যের চোরাচালানের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এসব অপরাধ অনেকটা কমলেও চক্রটি নানা কৌশলে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।