আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নিকুছড়ি সীমান্তে মর্মান্তিক মাইন বিস্ফোরণে মো. হোসেন (৩৩) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ৪২ ও ৪৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় বাঁশ কাটতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে তার বাম পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আহত হোসেন কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পাড়া পাতাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বাঁচা মিয়ার ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতের মামা জসিম উদ্দিন জানান, “বাঁশ কাটতে গিয়েই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই হোসেনের পা উড়ে যায়। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, “ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
সীমান্ত এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত এক মাসে একই সীমান্ত এলাকায় অন্তত ৯ জনের পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা দ্রুত মাইন চিহ্নিতকরণ, সীমান্তে নিয়মিত টহল এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম চালানোর দাবি জানিয়েছেন।
