সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারতে অবস্থানরত অবস্থান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা চাই তিনি বিচারের মুখোমুখি হোন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করবো—যেভাবে একজন অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সেটাই করবো। তাকে জোর করে ধরার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই।”
তিনি আরও জানান, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে সরকার আন্তরিক। “অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের অর্থ সব জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। যতক্ষণ মানুষ ভোট দিতে পারবে, ততক্ষণ নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক বলাই যায়।”
আওয়ামী লীগের বিষয়ে তিনি বলেন, “তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।”
বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয়ে আছেন। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশিদের তেমন সমস্যা নেই, সমস্যা হচ্ছে তার নিয়মিত প্রচার-ভাষণ। তিনি জানান, বিচার চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সম্পূর্ণ আইনি কাঠামোতে হবে।
এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
