আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি জরাজীর্ণ সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন নয়াপাড়া এলাকার শতাধিক যুবক।
দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত সড়কটি অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরে যায়। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর নয়াপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘুমধুম দাখিল মাদ্রাসা ও নয়াপাড়া পুরাতন কবরস্থানে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর জন্য সড়কটি চলাচলের একমাত্র ভরসা হলেও তা কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
সড়কের বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ঝুঁকি নিয়ে যেসব যানবাহন চলাচল করত, সেগুলোর ভাড়াও বেড়ে যায় দ্বিগুণ। ফলে পথচারীদের কাদা-পানিতে হেঁটেই যাতায়াত করতে হতো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নয়াপাড়ার তরুণরা নিজেদের অর্থ, শ্রম ও উদ্যোগে কংক্রিট ব্লক, ইটের খোয়া, বালুর বস্তা ও বাঁশ-খুঁটির সাহায্যে সড়কটির সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মানবিক উদ্যোগে এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন তারা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন রুবেল এবং ‘ঘুমধুম মিডিয়া প্যালেস’-এর নেতা মো. রিদোয়ানের নেতৃত্বে পরিচালিত এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ প্রসঙ্গে তারা জানান, “গত এক দশকেও এই সড়কে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সরকারি কোনো নজরদারি না থাকায় আমরা নিজেরা মিলে এগিয়ে এসেছি।”
তারা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে সংস্কার কাজ শেষ হলেও স্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত এই সড়কের পাকা উন্নয়ন এবং পুনঃনির্মাণ জরুরি।
এলাকাবাসীর দাবি, নয়াপাড়া সড়কটি দ্রুত পাকা করাসহ উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করলে উপকৃত হবেন হাজারো মানুষ, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।