নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈদগাঁও:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও গরুর বাজারে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় খামারি ও সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার (৩ জুন) ঈদগাঁও গরুর বাজারে প্রতিটি গরুর বিপরীতে ৩ হাজার টাকা করে হাসিল আদায় করা হয়। এর মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ১,২০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১,৮০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় ঈদগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চরম ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবাদে নেমেছে ছাত্র সমাজসহ সাধারণ খামারিরা।
ঈদগাঁও ছাত্র প্রতিনিধি ফারুকী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “৪ জুন (বুধবার) থেকে পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২,৫০০ টাকার বেশি হাসিল নেওয়া যাবে না। এর মধ্যে ক্রেতা দিবেন ১,০০০ টাকা ও বিক্রেতা দিবেন ১,৫০০ টাকা। এর ব্যত্যয় হলে ছাত্র-জনতা বাজার বন্ধ করে দেবে।”
প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, গরু বাজারে আনতে পরিবহন খরচ, খাবার খরচ এবং বছরের পর বছর ধরে লালন-পালনের পর বিক্রির সময় অতিরিক্ত হাসিল তাদের লাভ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসছে।
ঈদগড়ের গরু ব্যবসায়ী শাহাজান বলেন, “দুই বছর ধরে গরুটি পালন করছি। বাজারে স্থানীয় দামের চেয়ে ২ হাজার টাকা কম বলছে, তার ওপর আবার ৩ হাজার টাকা হাসিল। এতে আমার তো সরাসরি ক্ষতি। তাই গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছি।”
পোকখালী ইউনিয়নের খামারি আরিফুল ইসলাম বলেন, “এইভাবে অতিরিক্ত হাসিল আদায় চলতে থাকলে কেউ আর গরু আনতে চাইবে না। এটা কৃষকদের ওপর সরাসরি চাপ।”
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজ বুধবার (৪ জুন) থেকে ঈদগাঁও ছাত্র-জনতা বাজার পর্যবেক্ষণ করবে এবং অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।