ঈদগাঁও সংবাদদাতা;

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যস্ততম অংশে গরুর হাট বসায় ভয়াবহ যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মাত্র দুই মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

ঈদগাঁও স্টেশনের উত্তর পাশ দিয়ে যাওয়া ঈদগড়-বাইশারী সড়ক ব্যবহার করে লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আশপাশের হাজারো মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। কিন্তু সপ্তাহে দুই দিন—শনিবার ও মঙ্গলবার—এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসছে গরুর হাট, যা সড়কটিকে কার্যত অচল করে দিচ্ছে।

প্রথম দেখায় বোঝার উপায় নেই এটি রাস্তা নাকি পশুর বাজার। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে রাস্তা দখল করে চলে গরু বেচাকেনা। এতে যান চলাচলে বাধা, দুর্ঘটনা ও দীর্ঘ যানজটের পাশাপাশি পথচারী ও সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ঈদগাঁও পশুর হাটের ইজারা মূল্য উপজেলায় সর্বোচ্চ হলেও আজ পর্যন্ত আলাদা কোনো নির্ধারিত মাঠ বা হাটের স্থান নির্ধারণ হয়নি। হাটের আয় থেকে বাজার উন্নয়নে বরাদ্দ থাকলেও ব্যবহার হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার হাটের দিনে মহাসড়কে পশুর বর্জ্যে নোংরা পরিবেশ তৈরি হয়। যানবাহনের গতি থেমে যায়, দোকানপাটও বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়। ব্যবসায়ীরা বলেন, হাটের দিন দোকান খুললে বিক্রি তো হয়ই না, উপরন্তু গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়।

স্থানীয় ট্রাকচালক মনির বলেন, “এখানে পশুর হাটের কারণে দীর্ঘ যানজটে বসে থাকতে হয়। কখনো কখনো দুর্ঘটনাও ঘটে।”

গরু বিক্রেতা হোসেন বলেন, “বাজারে জায়গা নেই, তাই রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। যদি কমিটি জায়গা দেয়, তাহলে আর রাস্তা দখল করব না।”

বাজার ইজারাদার আবদু রহিম জানান, “পর্যাপ্ত খোলা জায়গা না থাকায় কিছু বিক্রেতা রাস্তার ওপর বসে পড়েন। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে, সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা বলেন, “ঈদগাঁও গরুর হাটে জায়গা সংকট রয়েছে। ফলে বিক্রেতারা রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।”

স্থানীয়দের দাবি, ঈদগাঁও পশুর হাটের জন্য দ্রুত একটি নির্ধারিত জায়গা বরাদ্দ দিয়ে সড়ক থেকে হাট সরিয়ে নেওয়া হোক, যাতে জনদুর্ভোগ লাঘব হয়।