সংবাদদাতা:
আব্দুল হাশিমের ৩টি স্ত্রী। ২য় স্ত্রী আলমাছ খাতুনের ১ম স্বামী মোঃ আলী। তার ২ পুত্র এক মেয়ে নছিয়া খাতুন। স্বামীর মৃত্যুর পর আব্দুল হাশিম গোপনে আলমাছ খাতুনের সাথে অবৈধ সর্ম্পক করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আব্দুল হাশিম আলমাছের আগের স্বামীর তিন ছেলে মেয়েসহ আলমাছ খাতুনকে তার নিজের বাসায় নিয়ে আসে। আলমাছ খাতুন যে সন্তান জন্ম দেয় তার নাম রাখা হয় ছৈয়দুল ইসলাম। আগের স্বামীর মেয়ে নছিয়া খাতুনের সাথেও অবৈধ সর্ম্পকে লিপ্ত হলে সেও গর্ভবতী হয়। সম্মানহানির ভয়ে ভাইপুত মোজাফফর আহমদকে নছিয়া খাতুনকে বিয়ে করতে বলে। তার টাকা না থাকায় ৪০ শতক জমি মহরনা হিসেবে দিতে বলে। মোজাফফর আহমদ রাজী হলে ৪০ শতক জমি মহরানা হিসেবে উল্লেখ না করে বিক্রি হিসেবে লিখে নেই আব্দুল হাশিম (২৮/০৫/১৯৬৪ সালে)। মোজাফফর আহমদ গর্ভবতী হওয়ার কারণ জানতে পেরে বিয়ে না করে এলাকাবাসিকে বিচার দেয়। দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে নছিয়া খাতুন সন্তান জন্ম দেয়। আব্দুল হাশিম সন্তানের আকিকা ও নাম রাখেন ছলামত উল্লাহ। আব্দুল হাশিম ঐ ৪০ শতক জমি জাল করে নিজের নামে করে ফেলে (০৩/০৫/১৯৬৫ সালে)। সামনে বিচারের দিন ধার্য হওয়ার আগে আব্দুল হাশিম মৃত্যুবরণ করে। তাকে কবর দিতে আনা হলে এলাকাবাসি বাধা দেয়। পরে ছলামত উল্লাহর সকল দায়িত্ব অর্থ্যাৎ তাকে সম্পত্তি থেকে বাদ দেবে না বললে এলাকাবাসি কবর দিতে দেয়। আব্দুল হাশিমে মৃত্যুর ৭-৮ মাস পর নুরুল ইসলাম সম্পত্তি একা ভোগ করতে থাকে। সুপারি, চাষাবাদ সব তার নিয়ন্ত্রণে। আলমাছ খাতুন বদিউল আলম চৌধুরীর কাছে সবকিছু খুলে বলে। তিনি আব্দুল হাশিমের সকল কাগজপত্র নিয়ে গেলো। বদিউল আলম চৌধুরী বলে জায়গা জমি আমার নামে লিখে দাও আমি নুরুল ইসলামের কাছ থেকে কেড়ে নেব। তখন আলমাছ খাতুন স্বামী : আব্দুল হাশিম, নুর আহমেদ পিতা : আব্দুল হাশিম এভাবে লিখে দেয়। উল্লেখ্য যে, ছলামত উল্লাহকে আলমাছ খাতুন নুর আহমেদ বলে ডাকত। কবলা অনুযায়ী বদিউল আলম সুপারি, চাষাবাদ করতে গেলে নুরুল ইসলাম বাধা প্রদান কওে, তখন তাকে মারধর করে। নুরুল ইসলাম বুঝতে পারলে আলমাছ খাতুনকে সাথে নিয়ে ১০ মাস পর আর করবেনা বলে বদিউল আলম চৌধুরীকে কথা দেয়। তখন নুরুল ইসলামের কথা বিবেচনা করে বদিউল আলম চৌধুরী জায়গা ফিরিয়ে দেয় (১৫/১০/১৯৬৬ সালে)। ঝামেলা ছাড়া ১০-১৫ বছর কেটে যায়। ১৯৯৫ সালে ভোটার হালনাগাদ শুরু হলে ছলামত উল্লাহকে পিতা : মৃত আব্দুল হাশিম দিতে বাধা প্রদান করে ছৈয়দুল ইসলাম। দায়িত্বশীল কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে অভিযোগ করলে তিনি নিজে এসে সরেজমিনে তদন্ত করে বিশে করে নছিয়া খাতুন, আলমাছ খাতুন, নুরুল ইসলামের মতামতের ভিত্তিতে ভোটার তালিকায় পিতা আব্দুল হাশিম নাম দেয়। নুরুল ইসলাম ও আলমাছ খাতুন ছলামত উল্লাহকে জায়গা রেজিষ্ট্রি দিতে নিয়ে গেলে ছৈয়দুল ইসলাম জানতে পেরে কোর্টবাজার থেকে তাদেরকে এসে বলে আমিও দেব তবে একটু অপেক্ষা কর। ছৈয়দুল ইসলামের মাতা আলমাছ খাতুন নিজেও কখনো ছেলের পক্ষে ছিলনা। ছলামত উল্লাহ মামলা করলে আলমাছ খাতুন বাদীর পক্ষে হয়ে বিবাদী ছৈয়দুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেয় (০২/০৯/১৯৯৫ সালে)। নুরুল ইসলামের কর্মকান্ডের কারণে ছোট ভাই ছলামত উল্লাহর পক্ষে নেওয়ায় ছৈয়দুল ইসলাম বাদী হয়ে নুরুল ইসলাম ও বড় ছেলে আব্দুল হাশিমের নামে মামলা করে (২৫/১০/১৯৯৫) সালে। ২০০৫ সালে মোজাফফরের মেয়ে মনোয়ারা বেগমকে ৪ শতক জমি বিক্রি করতে বলে। ছলামত উল্লাহকে সেখানে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে। যদিওবা তখন ছলামত উল্লাহ আইডি কার্ডে পিতা আব্দুল হাশিম ছিল। ২০০৮ সালে আবার হালনাগাদ ভোটার তালিকা শুরু হলে ছৈয়দুল ইসলাম ছলামত উল্লাহকে ডেকে স্বাক্ষর দিয়ে চলে যেতে বলে। মেজ ভাই ছৈয়দুল ইসলাম বিশ^াসঘাতকতা করার যে ছক আঁকে তা ছলামত উল্লাহ বুঝতে পারেনি। কারণ মা নছিয়া খাতুন আর ছৈয়দুল ইসলামের মা আলমাছ খাতুন ২০০০ সালের দিকে মৃত্যুবরণ করে। এনআইডি কার্ড আসলে ছলামত উল্লাহ পিতা মৃত মোজাফফর দেখলে ছৈয়দুল ইসলামের কাছে যায়। তখন তিনি বলে এটা তাদেও ভুল সমস্যা নেই আগামীবার ঠিক করে দেব। তার আগেই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন চক্রান্ত করে ছলামত উল্লাহকে ভিটা থেকে বাহির করে দেয়। এনআইডি কার্ডে পিতার নাম পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তার কিছু লোক। কারণ ছলামত উল্লাহ ব্যতিত অন্য ভাই ও ওয়ারিশরা ছিল আওয়ামীলীগের একনিষ্ট কর্মী। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায় হলে ছলামত উল্লাহ আইনের দ্বারস্থ হয়। তখন জেলা নির্বাচন অফিসার বিষয়টি উপজেলায় তদন্ত দেয়। তখন চৌকিদার, মেম্বার ও স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাচন কমিশনার সরেজমিনে তদন্ত করে এনআইডি কার্ডে পিতার নাম সংশোধন করে দেয়। ছৈয়দুল ইসলাম এটা জানতে পেরে আওয়ামীলীগের একনিষ্ট কর্মী আবুল কাশেমকে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করে। তার সাথে প্রাথমিক সাক্ষাৎ করলে সে এ বিষয় নিয়ে কিছু করবে না বলে আমাকে জবানবন্দি দেয় যার একটি রেকর্ড আমার কাছে আছে। পরবর্তীতে তার এমন পদক্ষেপে আমি মর্মাহত হয়। ছৈয়দুল ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম যেকোন মুুর্হুত্বে হামলা করবে বলে কয়েকজনকে জানিয়েছে। এলাকার মানুষ এতে ক্ষিপ্ত এবং তারা গণস্বাক্ষী দিতে প্রস্তুত আছে বলে আমাকে অবহিত করেছেন এবং তারা এটার ন্যায় বিচার দাবী করেছেন।