আট বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা। আজ শনিবার (১ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলা শহরের ৮৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিচ্ছে সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানান, সারা দেশে পরীক্ষা হওয়ায় কেন্দ্রসচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব গুরুত্বের সঙ্গে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চালু হয়। তবে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পুনরায় পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২৪৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এরপর খুলনায় ১৫৬টি, রাজশাহীতে ১৪৩টি, চট্টগ্রামে ১৩৪টি, রংপুরে ৯৬টি, বরিশালে ৫৯টি ও সিলেটে ৪৪টি কেন্দ্র রয়েছে। সরকারি কলেজ ছাড়াও স্থানীয় কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী) পদ্ধতিতে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় সময় থাকবে ১ ঘণ্টা, পাস নম্বর ৩৫। ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না। পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার জিপিএর ৪০ শতাংশ ও এইচএসসির ৬০ শতাংশ যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু আছে। এর মধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি ৬১৭টি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথম বর্ষে মোট আসন ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
এছাড়া ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি (পাস কোর্স) প্রথম বর্ষে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি আসনে ভর্তির সুযোগ ছিল। দেশের ১,৯৬৯টি কলেজে এই কোর্স পরিচালিত হয়। প্রতিটি বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন সংরক্ষিত কোটার আওতায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা (৩টি), আদিবাসী (১টি), প্রতিবন্ধী (১টি) ও পোষ্য কোটা (৩টি)।