সিবিএন:

দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার সিটি কলেজ তার সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে অনার্স ২য় বর্ষের ২০২৩ সালের চূড়ান্ত ফলাফলে। এ বছর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে রওশান জান্নাত রিমা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে পুরো বিভাগকে গর্বিত করেছেন। তিনি সর্বোচ্চ স্কোরের (৪.০০) মধ্যে ৩.৯৬ জিপিএ অর্জন করেছেন।

রিমার এই অর্জন কেবল পরীক্ষার ফলাফলে সীমাবদ্ধ নয়—শিক্ষার প্রতি তার নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ ছিল অসাধারণ। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতির হার ছিল ৯৯%, যা তাকে একজন আদর্শ শিক্ষার্থীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।

শিক্ষাজীবনের পূর্বসূত্র

রিমা কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫.০০ এবং কক্সবাজার সিটি কলেজ থেকেই এইচএসসিতেও জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তার বাবা মিজানুর রহমান, একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, যিনি মেয়ের এই সাফল্যে অত্যন্ত গর্বিত।

কৃতজ্ঞতা ও অনুভূতি

রিমা বলেন,
“৩.৯৬ পেয়ে আমি খুবই খুশি, যদিও আশা করেছিলাম আরও ভালো হবে। আমি চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার। আমার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক ও সহপাঠীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা পাশে না থাকলে এটা সম্ভব হতো না। পদার্থবিজ্ঞান কঠিন বিষয় হলেও নিয়মিত ক্লাস আর অধ্যবসায় থাকলে এখানে ভালো করা সম্ভব। ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা এতটাই সহানুভূতিশীল ও হেল্পফুল, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।”

অন্যান্য কৃতী শিক্ষার্থীরা

এই সাফল্যের তালিকায় আরও নাম যুক্ত হয়েছে—

মিতু বিশ্বাস, জিপিএ ৩.৮৬
এস্তেফা খানম ৩.৬৮ সহ ২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ জন ৩.০০ + অর্জন করেছে।

শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জেবুননেছা বলেন,
“আমাদের বিভাগ ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল করে আসছে। শিক্ষকদের নিবেদন এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমাদের লক্ষ্য আরও বড়। তিনি বলেন, ৪র্থ বর্ষের রেলি আকতার, জিপিএ ৩.৮৮, তারিক হোসেন, জিপিএ ৩.৮৩ (২০২২ সালের সর্বোচ্চ ফলাফলধারী, জিপিএ ৩.৭৭) অর্জন করে।

প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,
“বিভাগীয় প্রধানের নেতৃত্ব ও শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রম শিক্ষার্থীদের সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে। আমাদের সবাই মিলে একটি সহযোগী পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি বলেই এই ফলাফল।”

কলেজ প্রশাসনের অভিনন্দন

অধ্যক্ষ অধ্যাপক আকতার চৌধুরী বলেন,
“পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এই ফলাফল আমাকে আনন্দিত করেছে। আমি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে এই বিভাগ আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে।”