সিবিএন ডেস্ক ;

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি ও ঝাউবনের মাঝখানে অবস্থিত ‘কবিতা চত্বর’ হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রেমিক যুগলদের নিরিবিলি সময় কাটানোর জনপ্রিয় এই স্থানটি এখন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।

বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও জাতিসত্তার কবি নুরুল হুদা এই এলাকার নামকরণ করেছিলেন ‘হুদা কবিতা মঞ্চ’ নামে, যদিও এটি সাধারণ মানুষের কাছে ‘কবিতা চত্বর’ নামেই পরিচিত।

সম্প্রতি ফেসবুকে এই চত্বর নিয়ে নানা পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। নেটিজেনরা হুদা কবিতা মঞ্চে নিজেদের ছবি বসিয়ে ক্যাপশন দিচ্ছেন—“তুমি আমার লজ্জা ভাঙিয়ে দিও” কিংবা “৭ তারিখ চলে আসো”। এমন পোস্টের নিচে মন্তব্য আসছে—“আমার তো ঝিকঝাক পোশাক নেই”। বিষয়টি ঘিরে চলছে হাস্যরস, আবার কেউ কেউ উদ্বেগও প্রকাশ করছেন।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে রামু সরকারি কলেজের এক শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীর ফোনালাপ ফাঁস হয়, যেখানে ওই শিক্ষক কবিতা চত্বরে দেখা করার প্রস্তাব দেন।

ফোনালাপ অনুযায়ী, ৭ মার্চ শিক্ষকটি চত্বরে ছাত্রীকে দেখা করতে এলে ছাত্রীর সহপাঠীরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং উত্তম-মধ্যম দিয়ে আইনজীবীর কাছে হস্তান্তর করেন। পরে তিনি একটি স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান।

এ ঘটনার পর থেকে ‘কবিতা চত্বর’ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ এটিকে রসিকতার চোখে দেখলেও, সচেতন মহল এর সামাজিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটকদের পাশাপাশি তরুণরা এখানে সময় কাটাতে এসে মাঝে মাঝে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, যা এলাকাটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদারকির দাবি উঠছে।