অটোরিকশা চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হওয়া রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩) নামের এক যুবকের মোবাইল ফোন থেকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ মার্চ) পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী সংবাদ সম্মেলনে এই হত্যাকাণ্ডের বিবরণ প্রকাশ করেন।

রিফাতের মোবাইল ফোনে এক নারীকে বেঁধে রাখার ভিডিও পাওয়া গেলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত স্বীকার করেন, তিনি এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে একপর্যায়ে তাকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে তাকে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশটি রেললাইনে ফেলে আসেন।

পুলিশ জানায়, ১৪ জানুয়ারি আটোয়ারী উপজেলার কিসমত এলাকায় রেললাইনে অজ্ঞাতনামা এক নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়। শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন থাকলেও হত্যাকারীর পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে, রিফাতের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও পাওয়া যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়।

পুলিশের তদন্তে জানা যায়, রিফাত ওই নারীকে প্রথমে ইট দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে তাকে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। তিনি এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, রিফাতের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে, নিহত নারীর স্বজনরা জানিয়েছে, আটক রিফাতের মোবাইল ফোনে পাওয়া ছবি তাদের পরিচিত কাউকে না হওয়া সত্ত্বেও তদন্ত অব্যাহত থাকবে।