সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

চকরিয়াযর খুটাখালীতে ভূমি সংক্রান্ত একটি বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও জমির মালিক সিরাজুল হক।

শনিবার (৮ই ফেব্রুয়ারি) অনলাইন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, মূল ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই জমি ওয়ারিশ সূত্রে তাদের নামে রয়েছে। তবে কিছু আওয়ামী ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে সুযোগ না পেয়ে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে আবারো লবনের মাঠ দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উক্ত জমির প্রকৃত মালিক নজীর আহমদ, কবির আহমদ ও আবদু সোবহান (পিতা: নছরত আলী)। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তারা বৈধভাবে এই জমি ভোগদখল করে আসছেন এবং রেকর্ড অনুযায়ী তাদের মালিকানা স্বীকৃত। ২০০৬ সাল থেকে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তাদের জমিতে নিয়মিত লবণ চাষ করে আসছেন।

সিরাজুল হক অভিযোগ করেন, গত তিন বছর আগে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী চাষাকে মারধর করে এবং হুমকি দিয়ে জমি চাষ করতে বাধা দেয়। এতে তাদের চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে তারা জমি পুনরুদ্ধার করলে দখলদার ভূমিদস্যু আবু বক্কর (পিতা: হাজী নমিউদ্দীন) মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

প্রকাশিত ভিডিওটি নিয়ে সিরাজুল হক বলেন, “এই ভিডিওর সাথে ঘটনার কোনো মিল নেই। ভিডিওতে উপস্থিত ব্যক্তিদের আমি চিনিও না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও চকরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জনাব আবু তাহেরও এই জমির একজন মালিক বলে জানা গেছে। বহলতলী মৌজার ১৬৩ নং খতিয়ানের রেকর্ড অনুযায়ী, তাদের পরিবার মোট ৩৫ কানি জমির মালিক। তবে বর্তমানে তারা মাত্র ১১ কানি জমি ভোগদখল করছেন। অভিযোগ রয়েছে, সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যুরা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২ কানি (৮০ শতক) জমি দখলের পরিকল্পনা করছে।