হ্যাপী করিম, মহেশখালী;

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সাগর থেকে নাজমুল হাসান (১৮) নামে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবার এ ঘটনাকে হত্যা দাবি করেছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙার পশ্চিমে বহদ্দারের মুখ এলাকায় সাগরে ভাসমান অবস্থায় নাজমুলের লাশ পাওয়া যায়।

নিহত নাজমুল হাসান মহেশখালী পৌরসভার ঘোনারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ফেরদৌস মাঝির ছেলে।

পরিবারের বরাত দিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে লবণ বোঝাই কাজে একটি নৌযানে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন নাজমুল। পরে পরিবারকে জানানো হয়, রাত ১১টার দিকে কাজ করার সময় নৌযান থেকে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন।

তবে নাজমুলের বাবা মোহাম্মদ ফেরদৌস মাঝির দাবি, নৌযানে থাকা অন্য শ্রমিকরা তার ছেলেকে মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়, এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

নৌযানের মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, তিনজন শ্রমিক নিয়ে রাতে তার নৌযানটি লবণ বোঝাই করতে কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা খালে যায়। সেখানে নৌযানটি নোঙর করার সময় রশি বাঁধতে গিয়ে নাজমুল পানিতে পড়ে যায় এবং নিখোঁজ হয়। রাতে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও সকালে সাগরে লাশ ভেসে ওঠে।

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “এ অভিযোগ সত্য নয়, তাকে কেউ মারধর করেনি।”

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নাজমুলের চোখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।