আব্দুস সালাম, কক্সবাজার প্রতিনিধি ;
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোররাতে গলাচিপা এলাকার তিনটি রিসোর্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। আগুনে বিচ ভ্যালি, কিংশুক, ও সাইরী ইকো-রিসোর্টের ২৬টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মালিকদের বরাতে জানা যায়, সাইরী ইকো-রিসোর্টের রিসেপশনে মাল্টিপ্লাগের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী বিচ ভ্যালি ও কিংশুক রিসোর্টেও। টেকনাফ-২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক আহমেদ জানান, বিজিবি ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলেও আগুন নেভানোর সময় ৬ জন আহত হন, যারা প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছেন।
দ্বীপের জনপ্রতিনিধি ও চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনে প্রায় আড়াইশো আবাসিক রিসোর্ট রয়েছে। তবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যকর নয় বলেই এই ধরনের ঘটনা এত বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে। সরকারি কোনো ব্যবস্থাও নেই।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তদন্তে টেকনাফ ইউএনও’কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
তদন্ত রিপোর্টে অগ্নিকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, এবং দ্বীপের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুপারিশমালা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। জেলা প্রশাসক জানান, রিপোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।