কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি সীমান্তে ২০১১ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানি খাতুনের পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেন। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, “সীমান্তে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা ফেলানির পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছি।”

উপদেষ্টার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নেটিজেনরা প্রশংসা করছেন। শামিমা আক্তার নামে একজন মন্তব্য করেন, “অনেক ভালো কাজ করছেন।” মশিউর রহমান লেখেন, “কাঁটাতারের ফেলানি, আমরা তোমায় ভুলিনি।”

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন কিশোরী ফেলানি খাতুন (১৪)। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়, যা বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তোলে।

বিচারপ্রক্রিয়ার হালচাল

২০১৩ সালে ভারতের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়।

একই বছরের সেপ্টেম্বরে আসামি বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফ বিশেষ আদালত।

এই রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনর্বিচারের দাবি জানান ফেলানির বাবা নুর ইসলাম।

২০১৪ ও ২০১৫ সালে পুনর্বিচার হলেও অমিয় ঘোষ খালাস পান।

উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়ার এই পদক্ষেপ ফেলানির পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।