ঢাকা, ৪ জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে তিনি সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ হামলা হয়।
হামলার পর সাংবাদিকদের ফারুক হাসান অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে পরবর্তীতে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ফারুক দাবি করেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীরাই তার ওপর এ হামলা চালিয়েছেন।
ফেসবুক ভিডিওতে ফারুক হাসান জানান, বক্তব্য শেষে বিপ্লবী পরিষদের সভাপতি তাকে জানান যে তার বক্তব্যে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বক্তব্য শেষে পেছন থেকে তার ওপর অতর্কিত হামলা করা হয় এবং এতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীরাই জড়িত ছিলেন।
হামলার পর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেছিলাম আমরা বিপ্লবী সরকার চেয়েছিলাম, অন্তর্বর্তী সরকার চাইনি। এটি যারা ক্যান্টনমেন্টে বৈঠক করেছিলেন, তাদের জন্য হয়নি। এ বক্তব্যে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর আক্রমণ চালায়।”
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ফারুক হাসান বক্তব্য দেওয়ার সময় কিছু তরুণ তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে তার ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা তাকে চেয়ারে বসিয়ে মারধর করার পাশাপাশি কয়েকটি চেয়ারও ভাঙচুর করেন। পরে ফারুককে ধাওয়া দিয়ে ঢাকা মেডিকেল অভিমুখে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেও মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির মজুমদার বলেন, “ফারুকের ওপর হামলার সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কেউ জড়িত নয়। তিনি ড. ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করায় উপস্থিত অতিথিরা প্রতিবাদ জানায়। তবে হামলা চালিয়েছে সমাবেশে উপস্থিত কিছু বহিরাগত।”
ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।