বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য ওয়ানডে ফরম্যাট সবসময়ই প্রিয়। তবে এই ফরম্যাটেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়া লিটন-মিরাজদের জন্য ছিল হতাশার। সেই ক্ষত ভুলতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।
৮০ রানের জয় দিয়ে সিরিজ শেষ
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) গায়ানায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এদিন আগে ব্যাট করে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি দাঁড় করায় টাইগাররা। জবাবে ক্যারিবিয়ানরা ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায়।
বাংলাদেশের বোলারদের দাপট
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ব্যান্ডন কিং। এরপর জাস্টিন গ্রেভস (৬), নিকোলাস পুরান (১৫), রোস্টন চেজ (০) একে একে বিদায় নিলে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা।
জনসন চার্লস (২৩) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও রান আউট হয়ে বিদায় নেন। পরে রভম্যান পাওয়েল (২), গুঁড়াকেশ মোতি (১২), এবং আলজারি জোসেফ (১) দ্রুত ফিরে যান।
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে একমাত্র রোমারিও শেফার্ড কিছুটা লড়াই করেন। ২৭ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর ২০ বল বাকি থাকতে মাত্র ১০৯ রানে গুঁটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ও শেখ মাহেদী হাসান ২টি করে উইকেট শিকার করেন। তানজিম সাকিব এবং হাসান মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।
জাকেরের ব্যাটে বাংলাদেশর বড় সংগ্রহ
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক। তবে পারভেজ ইমন ২১ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম (৯)।
এরপর মেহেদী মিরাজের (২৩ বলে ২৯) সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন জাকের আলী। ইনিংসের শেষ দিকে ৪১ বলে অপরাজিত ৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন জাকের। শেষ দিকে তানজিম সাকিব ১২ বলে ১৭ রান করেন। এতে বাংলাদেশ ১৮৯ রানের বড় পুঁজি পায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রোমারিও শেফার্ড ২টি উইকেট নেন। আলজারি জোসেফ, রোস্টন চেজ, এবং গুঁড়াকেশ মোতি নেন একটি করে উইকেট।
টাইগারদের দারুণ প্রত্যাবর্তন
ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের কষ্ট সঙ্গী হলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের একইভাবে জবাব দিয়ে দারুণভাবে সফর শেষ করল বাংলাদেশ।