আবদুল মালেক সিকদার, রামু ;
স্বৈরাচার সরকারের দুর্নীতিবাজ রামু উপজেলা এলজিইডি উপ সহকারী প্রকৌশলী খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্যে ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। অবশেষে খায়রুল আলম কে বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় বদলি করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামু উপজেলার কয়েকজন কর্মকর্তা জানান খায়রুল আলম রামু এল জি ডি অফিসে স্বপদে বহাল থাকার জন্য বদলি ঠেকাতে দালালদের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে, তার খুঁটির জোর কোথায়। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা তার বদলি ঠেকাতে পারলে রামু অফিসে দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে। তার খুঁটির জোর কোথায়। তার বিরুদ্ধে যথার্থ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানান রামুর সচেতন মহল।
উল্লেখ্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রামু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাস্তবায়িত সরকারি কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি সহ খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ। বিগত সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজে স্বৈরাচার সরকারের সাংসদ কক্সবাজার সদর – রামু – ঈদগাও -৩ আসনের সাবেক এমপি ও প্রভাবশালী বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট ও নদী খননসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ সঠিক ভাবে সমাপ্ত না করে রামু এবং কক্সবাজারের ঠিকাদারদের সাথে হাত মিলে লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘুষের টাকা না দিলে ঠিকাদারদের প্রকল্পের কাজে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দিত বলে অভিযোগ রয়েছে খায়রুলে বিরুদ্ধে। সাবেক সংসদের ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারকে সংসদের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হুমকি ও অশোভন আচরণ করত রামু উপজেলা এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী খায়রুল আলম।
উল্লেখ্য যে, ইদগাহ – ঈদগড় সড়ক, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দখালী – পিএমখালী সংযোগ সড়কের ৩৬ কোটি টাকার সেতু , রামু কলেজ গেইট টু মাজহারুল উঠলুম মাদ্রাসা সড়ক, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা রাজারকুল সড়ক, গর্জনিয়া ও বাইশারী সড়কের ব্যাপক অনিয়ম ও পুকুর চুরির মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। উক্ত সড়কের দেখ বালের দায়িত্ব পালন করেন উপসহকারী প্রকৌশলী খায়রুল আলম, কাজের অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাজ থেকে লক্ষ, লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উপসহকারী প্রকৌশলী খায়রুল আলমসহ এলজিইডি কার্যালয়ের কয়েক জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সরকারিভাবে দুই বছরের অধিক কোন কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে থাকতে পারে না মর্মে সরকারি ভাবে প্রজ্ঞাপন থাকলে ও তাহা মানা হচ্ছে না। উপসহকারী প্রকৌশলী খায়রুল আলম, দীর্ঘদিন রামু এলজিইডিতে দায়িত্ব পালন করে,পরবর্তীতে খায়রুল কে টেকনাফ উপজেলায় বদলি করা হয়েছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোটা অঙ্কের ঘোষ প্রদান করে পুনরায় রামুতে বদলি হয়ে আসেন। রামুতে আসার পর থেকে খায়রুল আলম ও তার সহকর্মীরা মিলে সাবেক সংসদের ইশারায় দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা- রাজারকুল সড়ক ও গর্জনিয়া বাইশারী সড়কে ব্যাপক অনিয়ম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে এলজিইডি কর্মকর্তারা স্থানীয় ঠিকাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান/ মেম্বারদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতো।বর্তমানে তাদের সহায় সম্পদের বিবরণী তদন্ত করলে তলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। এবং যাহা তদন্ত করলে উন্নয়ন কাজের মান সম্পর্কে গুণগত মান কতটুকু হয়েছে সমস্ত কিছু বেরিয়ে আসবে।
স্থানীয় সচেতন মহল উক্ত উল্লিখিত কাজের মান যাচাই বাছাই সহ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এলাকার সচেতন -ছাত্র জনতা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
এব্যপারে রামু উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম’র কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান -উল্লিখিত সড়কে এ ধরনের কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি। আমরা কোনো চাঁদা বাজি করি নাই।
অন্যদিকে ২৬ শে মার্চ, ১৫ ই আগস্ট, ১৬ ই ডিসেম্বর এবং বিভিন্ন সময়ে মিটিং এর নাম ভাঙিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫% করে চাঁদা টাকা আদায়ের ক্যাসিয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন রামু এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম টাকা না দিলে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পেঠুয়া বাহিনী দিয়ে ঠিকাদারদের লাঞ্ছিত করা হতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ঠিকাদারদের এই প্রতিবেদককে বলেন খাইরুল ইসলাম একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, সাবেক সাংসদের ইশারায় আমাদের কে অনেক লাঞ্ছিত করেছে, টাকা না দিলে বিল পাশ করাতে পারতাম না, এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খাঁনের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান,তার বদলির অর্ডার হয়েছে সবেমাত্র। তিনি কয়েকদিনের মধ্যে তার কর্মস্থলে যোগদান করবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সেই লক্ষ টাকার মিশনের নেমেছে বদলি ঠেকানোর জন্য আসলেই এগুলো কোনোভাবে সম্ভব না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।