সিবিএন ডেস্ক:

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে, ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন, এবং একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে। আজ বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের প্রধান নিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন করার শেষ সময় ছিল গত সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত। নতুন ও পুরোনো আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। রপ্তানির অনুমতির সঙ্গে আটটি শর্ত দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে অনুমতির মেয়াদ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এবারও আগের মতোই শর্তগুলো কার্যকর রাখা হয়েছে, যা বিদ্যমান রপ্তানিনীতি অনুসারে প্রযোজ্য। শর্তগুলোতে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইলিশের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে এবং প্রতিটি চালান শেষে রপ্তানিসংক্রান্ত কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না, এবং অনুমতিপত্র কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য হবে না। রপ্তানিকারকদের সাব-কন্ট্রাক্টেও ইলিশ রপ্তানি করতে নিষেধ করা হয়েছে। সরকার যেকোনো সময় রপ্তানি বন্ধ করার অধিকার রাখে।

অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রতিষ্ঠান হলো: আরিফ সি ফুডস, জারা এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ ফিড, এস এ আর এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী সি ফুডস লিমিটেড, লাকি এন্টারপ্রাইজ, এবং টাইগার ট্রেডিং। ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করবে, এবং লোকজ ফ্যাশন ২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ইলিশ রপ্তানি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, “বৃহত্তর স্বার্থে এবং সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্তে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে। এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত, কারণ রপ্তানি না করলে চোরাচালান হওয়ার ঝুঁকি থাকে।”