বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের দেওয়া ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। তবে জয় সতর্ক করে বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কোনো কার্যকর সংস্কার বা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।

রয়টার্সের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, “এখন অন্তত একটা প্রত্যাশিত সময়সীমা আছে, যা জেনে আমি খুশি। তবে, আমরা অতীতেও এমন নাটক দেখেছি, যেখানে অসাংবিধানিক সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।”

গতকাল সেনাপ্রধানের বক্তব্যে তিনি বলেছেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে যাবেন। গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়।

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার নিয়ে কাজ করলেও, এখনও নির্বাচনের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—আগস্টের পরপরই দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানালেও অন্তর্বর্তী সরকার এখনো ছয়টি সংস্কার কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় রয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে জয় আরও বলেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়।” শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচনী সংস্কার কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, তারা তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেবে, যার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

জয় আরও জানান, শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে দেশে ফিরে বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে প্রস্তুত।