শাহেদুল ইসলাম মনির,কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার ছয় ইউনিয়নের অনেক গ্রাম পানির নিচে ডুবেছে। টানা বৃষ্টি ও ভাংগা বেড়ীবাধে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল ডুবেছে। উপজেলা ছয়টি ইউনিয়নে ১০টি স্লুইসগেট, ৫০টিরও অধিক কালভার্ট, বেড়ীবাঁধ বিলিন ও পানি চলাচলের স্থানে বিভিন্ন স্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণের জন্য জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন দ্বীপের সচেতন মহল।
জানা যায়, উপজেলার ১০টি স্লুইসগেটে পানি বন্ধ করে প্রভাবশালীরা মাছ শিকার করে। এতে বৃষ্টির পানি দ্রুত সাগরে যেতে না পারায় ছয়টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কালভার্টেও একই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আবার কিছু কিছু স্থানে প্রভাবশালীরা পানি চলাচল বন্ধ করে রেখেছে। এতে রোপা আমন এবং আগাম রবি ফসলসহ মাছের প্রজক্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, বেড়িবাঁধ বিলীন হওয়ায় বায়ু বিদ্যুৎ এলাকায় নিয়মিত জোয়ার-ভাটায় পরিণত হয়েছে। এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মনোহরখালীর বদরু মাঝিসহ ১৬ জন মাল্লা নিয়ে মাছ ধরার একটি নৌকার খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান স্থানীয়রা।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টিতে কৃষকের আউশ ধান ৩৮৪ হেক্টর, আমন বীজতলা ২৪ হেক্টর, আমন ধান ১১৯ হেক্টর ও সবজি ৫ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে
পানি বন্দি এলাকাগুলো পরিদর্শন করে গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় সব কালভার্ট গুলো খুলে দেয়া হয়। পরবর্তীতে পানি যাতে বন্ধ করতে না পারে তার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
