আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও;
প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে কক্সবাজারের ৪টি থানার ওসিকে এক যোগে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঈদগাঁও থানার ওসিও।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর )নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহর স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার হওয়া ওসিদের মধ্যে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো: রকিবুজ্জামান, টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গনি, ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রন্জন চাকমা ও রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান।
সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, প্রত্যাহারকৃত ওসিদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, টেকনাফ ও রামু থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলামকে এক সাথে বদলি করা হয়। পরে নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে নিযুক্ত করা হয়। রবিবার তিনি পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং পরে দিনব্যাপী কক্সবাজার জেলার সকল থানার ওসিদের সাথে মতবিনিময় করেন। এর পরপরই উক্ত ৪ থানার ওসিদের প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঈদগাঁওতে গুলিতে নিহত হন আন্দোলনকারী দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুরুল মোস্তফা। এছাড়া আরো ২০/২৫ জন আহত হন। আন্দোলন পরবর্তী বিপ্লবী সরকার গঠন হওয়ার মাসাধিককাল সময় অতিবাহিত হলেও নিহতের ঘটনায় রহস্যময় কারণে এখনো মামলা না হাওয়ায় আন্দোলনকারী ছাত্র -জনতার মাঝে দিন দিন ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের প্রশ্ন যেহেতু তখনকার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা প্রত্যাহার হয়েছে,সেহেতু উক্ত হামলা ও নিহতের ঘটনায় এবার কি মামলা হবে?
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।