আবুল কাশেম, রামু:
দীর্ঘদিন পর রামুতে প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলন করেছে জামায়াতে ইসলামী।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা জামায়াতের আমীর ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসানের সভাপতিত্বে খালেকুজ্জামান চত্বর সংলগ্ন সিটি পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।

তিনি বলেন, এদেশের ছাত্র জনতা গণবিপ্লবের মাধ্যমে হাসিনার পতন ঘটিয়ে মানুষকে মুক্তি এনে দিয়েছেন। সকল শহীদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে বাংলার জমিনের এই ময়দানকে আল্লাহর দ্বীনের প্রস্ফুটিত বাগান হিসেবে তৈরি করা হবে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন বাংলাদেশের নিকৃষ্ট স্বৈরাচার, সে বিনা ভোটের প্রধামন্ত্রী ছিলো বলে তার কাছে জনগণের কোন দায়বদ্ধতা ছিলোনা। এজন্যই দীর্ঘ ১৫বছরের শাসনকালে এদেশের মানুষের সমস্ত অধিকার হরণ করেছে। সকল রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিষিদ্ধ করে দেশকে ভারতের তাবেদারিতে পরিণ করে গেছেন।

মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান দেশে বাকশাল কায়েম করে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছিলেন। যার ফলে কয়েক বছরের শাসন আমলে উপ মহাদেশের নন্দিত নেতা হয়ে তার মৃত্যুর পর জানাযা পড়ার মানুষ ছিলোনা।

প্রধান অতিথি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম ২১ বছর পর আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় এসে তার থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতন্ত্র চর্চা করবেন। তা না করে হাসিনা ডিজিটাল বাকশাল গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিকদলসহ নাগরিকের সকল অধিকার হরণ করে গণহারে মানুষ হত্যা করেছেন। যার জলন্ত সাক্ষী জামায়াত ইসলাম ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা।

উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি প্রভাষক আ.ন.ম হারুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মুফতি হাবিব উল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর।

বক্তব্য রাখেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আমীর ওমর ফারুক সিরাজী, রামু উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল হাকিম, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিকুল আলম, উপজেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ তৈয়ব উল্লাহ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোক্তার আহমদ, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি বাদশা আলম, গর্জনিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আকতার কামাল, ফতেখারকুল ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি সোহরাব হোসেন, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা জয়নাল আবেদীন, চাকমারকুল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা শরীফুল হক, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি ইরাক মিয়া প্রমূখ।

এসময় উপজেলা অফিস সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সেলিম, উপজেলা যুব সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার আবদুল মান্নানসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।