আতিকুল ইসলাম:

‘এমন জীবন তুমি করিবে গঠন/মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন।’ এই প্রবাদবাক্যের মতোই জীবনের প্রতিটি মূহূর্তে সদালাপী, বিনয়ী, হাস্যোজ্জ্বল, সাদামনের মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন আলহাজ্ব আবু বক্কর কটু মিয়া। কমিউনিটির সবার আত্মার আত্মীয় হিসেবে পরিচিত এই প্রবাসী নেতা ছিলেন বিনয়ের প্রতীক। তিনি কখনো কারো সঙ্গে বিবাদে জড়াননি, বরং সবার সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রেখে গেছেন। তাঁর মতো সাধারণ মানুষের মাঝে থেকেও মানুষ তাঁকে অসাধারণ ভালোবাসায় আবদ্ধ রেখেছিল।

কারো অসুস্থতার খবর পেলে কটু মিয়া ছিলেন সবার আগে যিনি ছুটে যেতেন, ঘরে বা হাসপাতালে। মৃত্যু সংবাদ শুনলেই নামাজে জানাজায় প্রথম উপস্থিত হওয়া ছিল তাঁর নিয়মিত অভ্যাস। কার্ডিফ শাহজালাল মসজিদের সাবেক ট্রাষ্টি ও মোতওয়াল্লী, আনজুমানে আল-ইসলাহ ইউকের ওয়েলস ডিভিশনের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট, এবং প্রবাসের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। মৌলভীবাজার জেলার কচুয়া গ্রামের প্রবীণ মুরুব্বী আলহাজ্ব আবু বক্কর কটু মিয়া গত ১৯ আগস্ট কার্ডিফ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

গত ২১ আগস্ট কার্ডিফ শাহজালাল মসজিদে তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ২৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কচুয়া গ্রামে। সেখানে জানাজার পর কচুয়া আল-মনসুর হাউসের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ইসলামিক, এবং কমিউনিটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

মরহুমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আনজুমানে আল-ইসলাহর কেন্দ্রীয় সভাপতি হযরত আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, আনজুমানে আল-ইসলাহ ইউকের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুফতী মাওলানা আব্দুল জলিল, ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের প্রবাসী নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের ভাতিজা ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর সকলের প্রতি বিনীতভাবে দোয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।