পেকুয়া প্রতিনিধি ;

কক্সবাজারের পেকুয়ায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে চাকরিচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা পেল আরেক শিক্ষার্থী ।

শারমিন কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পেকুয়ায় আন্দোলনের যুক্ত ছিলেন শারমিন আক্তার।

জানা যায়, ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রাম এর গণশিক্ষা কার্যক্রমের সাধারণ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার।

নিয়োগ পাওয়ার পর শারমিন পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া তার বাড়ির পাশে ব্র্যাক প্রি প্রাইমারি স্কুলে গত ৭ মাস ধরে শিক্ষকতা করে আসছিলেন।

সরকারি ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর শারমিন স্কুলে গেলে ব্র্যাক পেকুয়া অফিসের এডুকেশন প্রোগ্রাম ম্যানেজার গোপাল দত্ত তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান এবং পেকুয়া ব্র্যাক অফিসে এসে যোগাযোগ করতে বলেন।

হঠাৎ তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে এমন খবরে হতভম্ব হয়ে পড়ে শারমিন। পরে এ বিষয়ে ব্র্যাক পেকুয়া অফিসে এসে এডুকেশন প্রোগ্রামের পিও আমেনা খাতুন জানতে চাইলে তিনি শারমিনের কাছ থেকে জোরপূর্বক রিজাইন ফরমে স্বাক্ষর আদায় করার চেষ্টা করেন।

বিষয়টি শারমিন সহপাঠীদের জানালে তাৎক্ষণিক পেকুয়া চৌমুহনীতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে থাকা শিক্ষার্থীরা জানতে পেয়ে পেকুয়া ব্র্যাক অফিসে থাকা সহপাঠীর পাশে ছুটে যায়। এসময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে চাকরি থেকে অব্যাহতি আদেশ তুলে নেন এবং স্বপদে বহাল রাখেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রাম পেকুয়া অফিসের ম্যানেজার গোপাল দত্ত আমার কাছে চাকরিতে নিয়োগের ৭ মাস পর জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে বলেন, তিনি আমার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার অজুহাতে আমাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেন, আমি জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য সময় চাইলে তিনি আমাকে ১ সেকেন্ডও সময় না দিয়ে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টা করে এবং পিও আমেনা খাতুনকে দিয়ে জোরপূর্বক রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর আদায়ের চেষ্টা করে, আমি বাধ্য হয়ে আমার সহপাঠীদের সহযোগিতা চাই।

এ বিষয়ে শারমিনের সহপাঠী শিশির মোহাম্মদ মনির বলেন,ছাত্র আন্দোলনে শহিদ আবু সাঈদরা রক্ত দিয়েছে চাকরি পাওয়ার জন্য চাকরি হারানো জন্য নয়। আজ আমার সহপাঠীকে চাকরিচ্যুত করবে এটার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না, ব্র্যাক পেকুয়া এডুকেশন প্রোগ্রাম ম্যানেজার গোপাল দত্ত তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের সহপাঠীকে চাকরিচ্যুত করার অপচেষ্টা চালায় ছাত্ররা তা প্রতিহত করে দিয়েছে।

ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রাম ম্যানেজার গোপাল দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ব্র্যাকের নিয়ম অনুসারে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪টি শর্তের প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতা মূলক শারমিনের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে মৌখিক ভাবে বলা হয়। ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শারমিনকে চাকরিতে পূর্ণ বহাল করি।

কেন নিয়োগের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া নিয়োগ দিলেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তার প্রতি সদয় হয়ে সুযোগ দিয়েছিলাম।

এসময় চট্টগ্রাম কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের, আনিছুর রহমান,রাকিবুল ইসলাম,

শাকিল,আব্দুল মামুন,ফয়সালসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।