এইচ এম রুহুল কাদের, চকরিয়া:
কক্সবাজার চকরিয়া মাতামুহুরি নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে উপজেলার নলবিলা ইসলামনগর পাড়াস্ত মিস্ত্রিঘুনা এলাকায় দীর্ঘকাল ধরে বসতি করে আসছিল কয়েকটি অসহায় পরিবার।
অসহায় পরিবারের ভুক্তভোগী সদস্যরা জানান বহিরাগত কয়েকজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ইব্রাহিম খলিল,সাইফুল ইসলাম মানিক,ও আবু বক্কর দীর্ঘদিন ধরে মিস্ত্রিঘুনার প্রত্যেক পরিবার থেকে ৫ লাখ টাকা করে চাঁদা চেয়ে আসছিল। ভুক্তভোগীরা চাঁদা না দেওয়ায় তাদেরকে দীর্ঘদিন প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এমতাবস্থায় বিষয়টি নলবিলা বনবিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে নিশ্চিত করতে গেলে চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা আবুবক্করের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিট কর্মকর্তার সামনে ৬/৭ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।এসময় তাদের বসতবাড়িতে গিয়ে হামলা ও লুটপাট চালায় তারা।
এঘটনায় স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার (১৫আগষ্ঠ) সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন এতে মিস্ত্রিঘোনার ১০-১৫ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওসময় স্থানীয়রা বলেন, ইব্রাহিম খলিল ও আবুবক্কর বনবিভাগের কর্মচারী পরিচয় দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলে বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে নির্যাতন করে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে থানা ও আদালতে একাধিক মামলাও রয়েছে। তিনি একাধিকবার জেলও কেটেছে।
এই ব্যাপারে নলবিলা বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ আগস্ট থেকে আমাদের সকল কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।
অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।