দেড় হাজার মানুষের ইফতার আয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলা বিএনপি নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও ইফতারের আয়োজন করেছিল শহরের সমুদ্র পাড়ের কবিতা চত্বরের খোলা ময়দানে। আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে আয়োজিত এই সংবর্ধনায় ৫ শতাধিক নির্যাতিত নেতা-কর্মী ছাড়া দেড় হাজারের বেশি নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। আর এই আয়োজনটি হয়ে উঠেছিল বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিলনমেলা। মনে হচ্ছিল যেন বিশাল কোন জনসভা চলছে।
জেলা বিএনপির এই ইফতার পার্টিতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দুই নেতা। একজন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান, অন্যজন কক্সবাজারের গৌরব, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে নির্বাসিত জীবন কাটানো বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তাঁরা দুজনই দেশের আগামীদিনের রাজনীতি নিয়ে দীপ্তি ছড়ানো নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দিয়ে কক্সবাজার জেলার হাজার হাজার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নতুন করে জাগিয়ে তুলেছেন।
কক্সবাজারের বিএনপি রাজনীতির গর্বের ধন, কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ভার্চুয়ালি প্রধান বক্তার বক্তব্যে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র উদ্ধারে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ করার জন্য দেশবাসির প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অনেকেই মনে করছে- রাতের আঁধারে ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনার সরকার আবার ৫ বছরের জন্য ক্ষমতা ঠিকে গেছে। তারা যেভাবে ক্ষমতায় এসেছে সেভাবেই রাতের আঁধারে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ স্বপ্ন দেখেন, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক দেশে ফিরে তিনি ঈমান নিয়ে এই দেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করতে পারবেন। একই সাথে তিনি আরেকটি স্বপ্ন দেখেন, বাংলাদেশে আর কোন মাকে যেন তার ছেলে ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকতে না হয়। তিনি আগামি দিনের সরকার উৎখাতের আন্দোলন আরও বেগবান হবে বলেও মন্তব্য করেন।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতারপূর্ব আলোচনায় ‘গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ, গুরুতর আহত ও কারামুক্ত নেতা-কর্মী’দের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতিত ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী এই সংবর্ধনায় যোগ দেন।
জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম. মোকতার আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নির্যাতিত ও সংবর্ধিত নেতা-কর্মীদের গোলাপ ও রজনীগন্ধা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী।
এতে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, সহ-সভাপতি এনামুল হক, এম মমতাজুল ইসলাম ও রফিকুল হুদা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল ইব্রাহিম চৌধুরীসহ উপজেলা, পৌরসভা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। এছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরাও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।