সোয়েব সাঈদ, রামু:
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন- শেখ হাসিনা যতদিন থাকবে ততদিন বাংলাদেশ উন্নত হবে। শেখ হাসিনার বিকল্প আর কেউ নেই। এদেশের সকল মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। তাঁর মতো সাহসী নেতা আর কেউ নেই। তাঁর চেয়ে বড় অভিভাবক আর নেই। শেখ হাসিনা না থাকলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। শেখ হাসিনা না থাকলে কক্সবাজারে রেল লাইন, ক্যান্টনমেন্ট আর বিকেএসপি হতো না। তিনি না থাকলে কখনো কক্সবাজারে চার লেনের সড়ক হতো না, গ্রামে গঞ্জে এত বড় বড় সেতু আর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হতো না। প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই বাঁকখালী নদী ড্রেজিং হয়েছে। মানুষ এখন আর বন্যায় আক্রান্ত হয়না। শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দূর্ভিক্ষমুক্ত বাংলাদেশ হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পাবে, মানুষ স্বপ্নেও ভাবেনি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ অনেক ভাতা দেয়া হচ্ছে। যা অনেক উন্নত দেশেও দেয়া হয়না।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে শুভ আগমন উপলক্ষ্যে রামুতে বিশাল মতবিনিময় সভায় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি এসব কথা বলেন। শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী মিলনায়তনে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ।
সভায় এমপি কমল আরও বলেন- শেখ হাসিনা কক্সবাজার আসছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে বরন করতে কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁহ‘র লক্ষ লক্ষ জনতা প্রস্তুত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি জনতার উপস্থিতি প্রমাণ দিতে আগামী ৬ নভেম্বর প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ৭, ৮, ৯ নভেম্বর প্রতি ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হবে।
রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়- কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য গোলাম কবির, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার ফরিদ আহমদ, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গণি সওদাগর, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ফরিদুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা সম্পাদিকা নুসরাত জাহান মুন্নী, আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, আলী হোসেন কোম্পানি, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নুরুল হক কোম্পানি, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো, চাকমারকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগ নেতা সাংবাদিক আব্দু মাবুদ, গর্জনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউনুস ভুট্টো, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম চৌধুরী, ফরিদ আহমদ চৌধুরী, মো. আইয়ুব সিকদার, হাবিব উল্লাহ চৌধুরী, মাস্টার কিশোর বড়ুয়া, জহির সিকদার, ওসমান সরওয়ার মামুন, এম এম আবুল কালাম আজাদ, রামু ব্রাদার্স ইউনিয়নের সভাপতি নবু আলম, আবছার কামাল সিকদার, জয়নাল আবেদিন বক্তব্য রাখেন।
রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি তপন মল্লিক, রামু উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, সহ-সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী, কক্সবাজার জেলা তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আনচারুল হক ভুট্টো, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মো. আব্দুশ শুক্কুর, জাতীয় শ্রমিকলীগ রামুর সভাপতি শফিকুল আলম কাজল, রামু উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তসলিম উদ্দিন সোহেল, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক মো. সেলিম, তাঁতীলীগ সভাপতি নুরুল আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, আওয়ামী ওলামালীগ সভাপতি মাওলানা নুরুল আজিম, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও জেলা মেম্বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ মেম্বার, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আজিজুল হক আজিজ মেম্বার, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, রাজারকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী, ঈদগড় যুবলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. কাউসার, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম সেলিম, ছাত্রলীগ নেতা ইমাদ সিকদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের উপজেলা এবং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
