সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার শহরের সকল প্রকার অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করতে যাচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা। সড়কের ফুটপাত, নালা, যত্রতত্র স্টেশন সহ সকল প্রকার অবৈধ দখল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত রাখার হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।
বুধবার(৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন মেয়র এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত ২ দিন ধরে কক্সবাজার শহরের মাইকিং করে সকল প্রকার অবৈধ দখলদারদের স্বেচ্ছায় দখল ছেড়ে দেয়ার আহবান-অনুরোধ জানিয়ে প্রচারণা চালানো হয়েছে। যেখানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার কথা বলা হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যথা সময়ে এই অভিযান শুরু হবে।
গত ১২ জুন কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত ৩৭ দফার কথা স্মরণ করে মেয়র বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল একটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসা-যাওয়া। চিকিৎসা নিতে আসা মুমূর্ষু রোগীও আসেন। এই সড়কটির উভয় পাশের ফুটপাত দখল করে দোকান, গাড়ি পার্কিং, এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং এর কারণে সাধারণ মানুষও চলাচল করতে পারে না। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এছাড়া প্রধান সড়কের উভয় পাশের ফুটপাতের দোকান, কয়েকটি অবৈধ স্টেশন, বিভিন্ন দোকানদার সামনের সড়ক দখল করে পণ্য রাখার কারণে তীব্র যানজটের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। শহরের মুক্তিযোদ্ধা সরণি পুরোই যেন গাড়ি পার্কিং স্টেশন হয়ে উঠেছে। এভাবে চলতে পারেনা।
মেয়র বলেন, শহরের বড় বাজার এলাকার অবস্থা আরও ভয়াবহ। যেখানে ফুটপাত বলে কিছুই নেই। সব দখল করে দোকান আর দোকান। রয়েছে অবৈধ স্টেশনও। বৃহস্পতিবার এসব উচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে অভিযান। ধারাবাহিকভাবে পৌরসভার সকল নালা-নর্দমা, জমিও দখল মুক্ত করা হবে। এ অভিযান সফলভাবে শেষ করতে তিনি পৌরবাসী সহ গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন।
sh
এক প্রশ্নের উত্তরে পৌর মেয়র বলেন, পৌরসভার নির্ধারিত ইজারার বাইরে কোন প্রকার টোল বা চাঁদা নেন না। যারা পৌরসভার কথা বলে এসব অবৈধ দখল বা স্টেশন থেকে চাঁদা আদায় করেন তারা চাঁদাবাজ। তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একই সঙ্গে যানজট নিরসরে অবৈধ ইজিবাইক, অটোরিক্সা, রিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান করা হবে।
এ বিষয়ে পৌরমেয়র বলেন, আঠারো বছরের নিচে কেউ গাড়ি চালক হতে পারবে না। রোহিঙ্গাদের গাড়ির চালানোর কোনো সুযোগ নেই। একটি পরিকল্পিত শহর করতে যা করার প্রয়োজন তা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার সালাম, প্যানেল মেয়র-১ সালাউদ্দিন সেতু, প্যানেল মেয়র-২ ওমর সিদ্দিক লালু, প্যানেল মেয়র-৩ ইয়াছমিন আক্তার, কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশ, এহেসান উল্লাহ ও নাসিমা আক্তার বকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।