আজিজুর রহমান রাজু:
ঈদগাঁওর খালে বালিকাণ্ডে দুই সন্তানের জনক সায়মনের মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা।এবার অবৈধভাবে বালি তোলার ফলে তৈরি গর্তে পড়ে মৃত্যু হল তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলমের।
শুক্রবার সকালে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা ঈদগাঁও উপজেলার, ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভিলেজার পাড়া,পুলচুয়ার মুখে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের গভীর গর্তে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ঐ শিশুর।
নিহত শিক্ষার্থী ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ ছোট ছেলে মোহাম্মদ আলম(১১)। ক্ষোভে ,আর্তনাদে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য।
জানাজায়, প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন মোহাম্মদ আলম ও তার সহপাঠীদের সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পূর্ব ভিলেজার পাড়া পুলচুয়ার মুখ খেলার মাঠে, খেলাধুলা করছিল। এসময় তাদের খেলার বলটি পাশেই অবৈধভাবে বালি তোলায় তৈরি গভীর গর্তে পড়লে শিশু আলম ঐ গর্তে নেমে পড়ে,
এসময় গর্ত গভীর হওয়ায় সে ডুবে যায় পরে তার সহপাঠীদের তাকে দেখতে না পেয়ে আত্মচিৎকার শুরু করলে, তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে শিশু আলমকে উদ্ধার করে, ঈদগাঁও ডায়াবেটিস কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। তাদের দাবী যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে ঈদগাঁও উপজেলায় চলমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হুমকির মুখে পড়ছে, অবৈধভাবে বালি তোলার তৈরিকৃত গর্তে পড়ে প্রাণ হানির সংখ্যা ও বাড়ছে। সেইসাথে মানুষের চলাচলের রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামসুল আলমের নেতৃত্বে একটি চক্র ঈদগাঁও খাল ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিক দিয়ে অবাধে বালু তুলে কোটি কোটি টাকা অবৈধ ব্যবসা করছেন।
স্থানীয়দের দাবী,গুটিকয়েক লোকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এভাবে সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষতি রোধ করতে হবে। তাদের দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।