জেসমিন মনসুর, কাডিফ ইন ইউকে:

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইউকে বিডি টিভিতে গত ৮ ই জানুয়ারি রোববার ছাত্রলীগের গৌরবের একাল- সেকাল ; প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম শীরনামে এক আন্তর্জাতিক ভার্চ্যুয়ালী আলোচনা অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান, ইউকে ওয়েলস ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ইউকে বৃস্টল ওয়েষ্ট যুবলীগের সভাপতি খায়রুল আলম লিংকন, এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত পোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ৬০ এর দশকের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা এম এ রহিম সি আই পি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মোস্তফা কামাল মিলন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল হাসিব মামুন, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শাহীন আজমল, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুল আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা হাজী আব্দুল বাছিত, নিউপোট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা শাহ শাফি কাদির, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর,
ইউকে ওয়েলস ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুল মনসুর, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান তালুকদার শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম লিমন ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আহবাব হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ, সহ সকল বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বলতেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস’। বাংলা, বাঙালি, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় একঝাঁক সূর্যবিজয়ী স্বাধীনতাপ্রেমী তারুণ্যের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়া মহাদেশের ‘বৃহত্তম’ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫ বছরের ইতিহাস জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের লক্ষে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মী রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাসে যেমনই হাজার হাজার যোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে তেমনই কিছু সংখ্যক অযোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে। যার কারণে মাঝে-মধ্যে বিতর্কিত হতে হয় বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংঠনটিকে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী নেতৃত্বে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অবিচল। ছাত্রলীগ সব ভুল সংশোধন করে আগামীদিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় কাজ করে গেলে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে।
বক্তারা বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশে উন্নীত করেন, আর আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মাতৃভূমিকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যাচ্ছি ‘ স্বাধীনতার পর বিগত ৫০ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে এবং ছাত্রলীগের ইতিহাস সবাইকে জানতে ও জানাতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা পৌঁছে দেবো এই হোক আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার।