কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। রক্ষণশীল কাতারে ফুটবলের বড় এই আয়োজনে অনেক কিছুই নিষিদ্ধ। খোলামেলা পোশাক পরে কেউ স্টেডিয়ামে আসতে পারবেন না। বিয়ার-মদ নিয়ে স্টেডিয়ামে আসা যাবে না।

নারীদের শরীর ঢাকা পোশাক পরে তবেই মাঠে আসতে হবে। ছোট টপ বা স্কার্ট পরা যাবে না। গলায় রাখতে হবে স্কার্ফ।
মরক্কোর বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া ইবানা নোল। পরে বিশ্বের অন্যতম লাস্যময়ী ফুটবল সমর্থক কাতারের কড়া সমালোচনা করেছেন।

ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ থাকলেই গ্যালারিতে দেখা যায় ইবানাকে। দেশের জাতীয় পতাকার আদলে বিশেষ পোশাক তৈরি করেছেন। সেই পোশাক পরেই প্রিয় দলকে সমর্থন জানান।

কাতার বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে বিরক্ত হন ইবানা। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ইতিহাসের জঘন্যতম’ ফুটবল বিশ্বকাপ হচ্ছে কাতারে।

ইবানা পেশায় মডেল। তিনি সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া। ছোট থেকেই ফুটবল ভক্ত। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের সময় গ্যালারির উষ্ণতা বৃদ্ধি করেছিলেন নানা রকম আকর্ষণীয় পোশাকে। বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি গণমাধ্যমে লিখেছেন, ‘এটা একটা বিপর্যয়। যারা এবার বিশ্বকাপ দেখতে যেতে পারেননি, তাদের জন্য আমার খুবই খারাপ লাগছে। তারা ইতিহাসের জঘন্যতম বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলেন না।’

কেন জঘন্যতম বলছেন কাতার বিশ্বকাপকে? ইবানা বলেন, ‘২০ দিন বা তারও বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে হায়া কার্ড পেতে। খেলা দেখার টিকিট থাকলেও হায়া কার্ড পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বকাপ দেখার জন্য এত রকম কাগজপত্র কখনো দরকার হয়নি। এসব কারণের জন্যই অনেকে এবারের সার্কাসে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় পতাকার রঙের বিকিনি পরা ছবি দিয়ে ইবানা লিখেছেন, ‘কাতারে কি এই পোশাক পরতে পারব?’ কাতারের আইন-কানুনে বিরক্ত ইবানা সাফ জানিয়েছেন নিজের ইচ্ছামতো পোশাকই পরবেন।