সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
দলের দুঃসময়ের রাজপথে থাকা প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সদ্য সাবেক সভাপতি সরওয়ারের আপন ভাই ও ভাতিজাসহ পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কাউন্সিলর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্গনের অভিযোগে দ্বিতীয় অধিবেশনের ভোট বর্জন করেছেন সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী মিজানুর রহমান হেলাল।
একই সাথে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে তাঁর লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে কাউন্সিল স্থগিত করে জেলা আওয়ামী লীগ।
ওই আবেদনে সভাপতি প্রার্থী হেলাল দাবী করেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ৬৩ নং ধারায় একজন ব্যক্তি একই সময়ে দু’টি কমিটির পদ গ্রহণ করতে পারবেনা৷ অথচ, ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও এবারের সভাপতি প্রার্থী সরওয়ার আলম চৌধুরী বর্তমানে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও অধিষ্ঠিত আছেন। ফলে তিনি মাদার সংগঠন তথা ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
এছাড়া তিনি দলীয় শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ডেও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সভাপতি প্রার্থী হেলাল।
নিজের এমন দাবীর যৌক্তিক কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন, “বিতর্কিত সভাপতি প্রার্থী সরওয়ার আলম চৌধুরী গত ১৭-০৯-২০২২ ইংরেজি তারিখ ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের কমিটি অনুমোদন দেন। অবাক করা বিষয় হলো-একই ব্যক্তি একই তারিখে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পিএমখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও অনুমোদন দিয়েছেন। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৬৩ নং ধারা অনুযায়ী সম্পুর্ন অবৈধ। (তাঁর স্বাক্ষরিত কমিটিগুলোর কপি সংরক্ষিত রয়েছে)।
এছাড়া দলের দুঃসময়ের প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আপন ভাই ও ভাতিজাসহ পরিবারের ১৫/২০ জন সদস্যকে বিতর্কিতভাবে কাউন্সিলর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন বিতর্কিত সভাপতি প্রার্থী সরওয়ার আলম চৌধুরী।
এসব অভিযোগ ছাড়াও আরও বহু সাংগঠনিক শৃংখলা বিরোধী কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখার পরও আবারও ১২ নভেম্বরের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলেন সরওয়ার।”
এমন বাস্তবতায় ঝিলংজা ইউনিয়ন আ’লীগের প্রথম অধিবেশন শেষে বিতর্কিত তালিকা নিয়ে কাউন্সিল করার উপর আপত্তি উঠলে সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়।
পরবর্তীতে কিছু উশৃংখল লোক সম্মেলন স্থলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এতে সাধারণ জনগণ এবং নেতাকর্মীদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, কাউন্সিলর তালিকায় অনিয়ম এবং একজন প্রার্থীর দলীয় গঠনতন্ত্রের ৬৩ নং ধারা লঙ্গনের অভিযোগ সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অবগত করা হয়েছে।
গঠনতন্ত্র সমুন্নত রেখে পরবর্তীতে তাদের সাথে আলোচনা পরামর্শক্রমে স্থগিত কাউন্সিল অধিবেশন সম্পন্ন করা অথবা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।