আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন বড়ইতলী এলাকায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৫) এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ অপহরণকারী কতৃক অপহৃত তিনজন ভিকটিম উদ্ধারসহ অপহরণ চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ বিল্লাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার এর সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পে একজন মহিলা (এফডিএমএন) অভিযোগ দায়ের করে যে,উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প, ব্লক ডি-৫, এফসিএন নং-৬৭১৭৫১৯২০ এর বাসিন্দা রহিম উল্লাহর ছেলে ইমান হোছন (১৬) কে গত ৭ সেপ্টেম্বর অনুমানিক ১০ টার দিকে তার ছেলে, একই ক্যাম্পের ইসমাইল(১৭) এবং মোঃ রফিক (১৬)’সহ তিনজনে টেকনাফ থানাধীন পুরাতন পল্লানপাড়া ভিকটিমের খালার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে দিন শেষে রাত হওয়ার পরও তার ছেলে বাড়ি না ফেরায় তার বোনকে ফোন করে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তার ছেলে ও সঙ্গীয় বন্ধুরা আসেনি মর্মে জানায়। এরপর ভিকটিমদের পরিবার ও আত্নীয় স্বজনসহ সবাই খোঁজাখুজি শুরু করে এবং খোঁজাখুজির একপর্যায়ে অপরিচিত মোবাইল নম্বর হতে তার ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করে জানায় ইমান হোছন , ইসমাইল ও মোঃ রফিক অপহৃত হয়েছে এবং মুক্তিপণ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এছাড়াও মুক্তিপণ না দিলে ভিকটিমদেরকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্প অবগত হয়ে অপহৃত ভিকটিমদেরকে উদ্ধার করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করে।

পরবর্তীতে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) অনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বড়ইতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত ভিকটিমদের উদ্ধার করে।
এ সময় অপহরণকারী চক্রের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বড়ইতলী জালাল আহমদের আজিজ উল্লাহ (৩৫), একই এলাকার মোঃ শফিকের ছেলে সাহাবউদ্দিন (২৫), নুরনবী এর ছেলে আব্দুর রহিম (২২) ও রফিকের ছেলে আমান উল্লাহ (৩৫) গ্রেফতার করে এবং টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার হাসানের ছেলে নিজাম, দক্ষিণ জালিয়ারপাড়ার মোঃ সালামের
ইসমাইল কৌশলে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ যে, বর্ণিত অপহরণকারীেদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং -২৯/৮০০,তারিখ -১২/০৯/২০২২ নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারার মামলা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত ভিকটিম এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।