লিমন ইসলাম:
শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ছাত্রলীগের গৌরবের একাল-সেকাল ; প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম; শীরনামে ইউ কে বিডি টিভির আন্তর্জাতিক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গত ৫ জানুয়ারি দেশে- বিদেশে বসবাসকারী প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতাকমীদের অংশগ্রহণে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
৬০ এর দশকের কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রনেতা ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউকে বিডি টিভির সম্মানিত উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে এবং ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ৯০ এর গণ আন্দোলনের সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ৭২ – ৭৩ সালের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, শেখ শহীদুল ইসলাম,
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি শা‌হে আলম তালুকদার এমপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা এডঃ মোঃ আবু জাহির এমপি, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীল সভাপতি ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আবুল হাসেম, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাকসুর সাবেক সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা দেওয়ান গৌস সুলতান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সাবেক সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট লেখক এম এ সালাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্ট্রেইট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা এম মুহিউদ্দিন, ম্যানচেস্টার আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মীর গোলাম মোস্তফা, হলহাম্বার আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা রাধা কান্ত ধর, নিউপোট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা শাহ শাফি কাদির, ও মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর,সহ অন্যান্য আলোচকবৃন্দ।
পোগ্রামের শুরুতেই ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে যে সব সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ দায়িত্ব পালন করেছেন সবার নাম পড়ে শুনান ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল আলম লিংকন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী ভাস্কর ভট্টাচার্জ ও কবিতা আবৃত্তি করেন তামালি ভট্টাচার্জ সহ অন্যান্যরা।
শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ছাত্রলীগের গৌরবের একাল-সেকাল ; প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম; শীরনামে ইউ কে বিডি টিভির আন্তর্জাতিক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায়
দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ এবং প্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্মদিনে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৫ ই আগষ্টে নিহত সকল শহীদান জাতীয় চার নেতা,মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদান এবং ছাত্রলীগের লাখো নেতাকর্মীর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তারা বলেন ১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় এক ঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে সেদিন যাত্রা শুরু করে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। ছাত্রলীগ আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন- যেকোনো আন্দোলনই যদি আমরা দেখি সব থেকে বেশি রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
৭৪ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
ছাত্রলীগের গৌরভময় সাফল্যের এই পথচলায় অংশীদার সাবেক ও বর্তমান সকল স্থরের নেতা-কর্মীদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বক্তারা আর ও বলেন
জয় বাংলা একটি পতাকার তলে অবস্থান যে একজন মানুষকে তার ব্যক্তিক পরিধি ছাপিয়ে সমষ্টির মধ্যে মাথা উঁচু করা মর্যাদায় আসীন করতে পারে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার ৭৩ বছরের দুর্গম পথচলায় তা প্রমান করেছে। জাতি হিসেবে বাঙালির যা অর্জন তার সবই এসেছে ছাত্রলীগের হাত ধরে।
১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন. যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন. বাষট্টির শিক্ষা-আন্দোলন. ১৯৬৬ এর ছয়দফা আন্দোলন.ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান.১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধ.পঁচাত্তর পরবর্তী জাতির পিতা-হত্যার নেপথ্য ও প্রকাশ্য কারিগর খুনি মোস্তাক-জিয়া বিরোধী আন্দোলন. ১৯ ৯০ এর সৈরাচার এরশাদ পতন আন্দোলন. খালেদা-নিজামীর দুঃশাসন বিরোধী আন্দোলন. ১/১১ এর সময় তথাকথিত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপশাসন বিরোধী আন্দোলন. দেশরত্ন শেখ হাসিনা-মুক্তি আন্দোলন সহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও বাংলাদেশের প্রতিটি সংকটে হাল ধরা সহ বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে ছাত্রলীগের প্রত্যক্ষ ভূমিকা.। দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ জাগিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির পথে সাহসী তারুণ্যের মিছিলের নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগ্রাম আর শিক্ষার নিশ্চয়তার ছাত্রসমাজের তথা দেশবাসীর জন্য আজও ছাত্রলীগ অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করে চলছে.। ছাত্রলীগের গৌরবময় সাফল্যের এই পথচলায় অংশীদার সাবেক ও বর্তমান সকল স্থরের নেতা-কর্মীদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বক্তারা ইতিহাস ঐতিহ্য আর সোনালী অর্জন নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাক বাংলার প্রাণের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনএই প্রতাশ্যা ব্যাক্ত করেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রীও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আরও দায়িত্বশীল ভৃমিকা রাখতে হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকীতে এই হোক প্রতিটি নেতাকর্মীদের দৃপ্ত শপথ.বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।