ফারুক আহমদ , উখিয়া :
উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং, হলদিয়া পালং, পালং খালী ইউনিয়ন এবং ৭ ও ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে DAN CHURCH AID- এর অর্থায়নে FRIENDSHIP NGO সার্বিক তত্ত্বাবধানে Provision of life saving integrated GBV and SRH services told Rohingya refugees and Host communities in Bangladesh-2nd phase. শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা উখিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর ) অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
সভার শুরুতে প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও শিখন বিষয়ে তথ্যবহুল ডকুমেন্টারি উপস্থাপনা করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশীপ-এর জিবিভি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার পারসা সানজানা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফ্রেন্ডশীপ এনজিও’র জিবিভি প্রোগ্রামের কমিউনিটি এনগেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটর রোমানা আক্তার রিপা ও কেস ওয়ার্কার ফরিদ আল মামুন। সমন্বয়ে ছিলেন রেসপন্স কো-অর্ডিনেটর আফিয়া আনজুম ও এসআরএইচ কো-অর্ডিনেটর শিমু বিশ্বাস।
প্রকল্প অগ্রগতি পর্যালোচনা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজ উদ্দিন, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুর মোর্শেদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেজিৎ তালুকদার, উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ এহেসান উল্লাহ সিকদার , রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম ও উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার।
সভায় এছাড়াও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।।

সভায় বক্তারা বলেন, এনজিও ফ্রেন্ডশীপ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের ভাগ্য উন্নয়নে দক্ষতার সহিত ও সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্রেন্ডশীপ শিক্ষার প্রসার, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত ও সামাজিক সম্প্রতির বজায় রাখতে কাজ করতেছে এবং সরকারের সকল উন্নয়ন মূলক কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে ।
এছাড়াও এই প্রজেক্টের আউটরিচ টিমের সদস্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে বাল্যবিবাহ, গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা, মানবপাচার, মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা করে থাকে। যার দরুন সর্বসাধারণের তথ্য লাভের সাথে নির্যাতিত নারী, কিশোর-কিশোরীরাও কেইস ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে চাহিদা মোতাবেক সেবা গ্রহণ করতে পারে।এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন ও সুস্থতার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত MHPSS অফিসারের মাধ্যমে মনোসামাজিক সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২৪/৭ ঘন্টা হেল্পলাইন সেবা দেয়া হয় যেখানে একজন মেডিকেল অফিসার এবং তিনজন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট সর্বদা কাজে নিয়েজিত থাকেন।