কামাল শিশির, রামু:

কক্সবাজারের রামু খুনিয়াপালংয়ের পেঁচারদ্বীপ মংলা পাড়া এলাকার ৪ শিক্ষার্থীকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের কথা বলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তারা বর্তমানে শিক্ষার্থীদের আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।

এ অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামু থানার ওসি তদন্ত অরুপ কুমার চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা টি টেকনাফ থানার আওতাধীন হওয়াই তাদের পরিবার কে সেখানে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি এবং আমরা তাদের সহযোগিতায় বিষয়টি তদন্ত করব।’
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর স্বজনরা জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম নামের ২ রোহিঙ্গাকে অভিযুক্ত করছেন।
অভিযুক্ত ২ জন টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা। তারা হিমছড়ি করাচিপাড়া বাতিঘর কটেজের কর্মচারী বলে স্থানীয়রা জানান।

৪ শিক্ষার্থী হলেন রামু খুনিয়াপালংয়ের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
অপহরণকারীরা দফায় দফায় মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
এ বিষয়ে রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার।অভিযোগে বলা হয়েছে, হিমছড়ি করাচিপাড়া বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে ৪ জনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। এরপর থেকে ৪ শিক্ষার্থীর খোঁজ মিলছে না।
নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর ৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
নিখোঁজ জাহেদুলের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘পূর্ব পরিচয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আমার ছেলেসহ ৪ জনকে নিয়ে গেছে। খোঁজ খবর নিতে ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীমের মোবাইল ফোনও বন্ধ। পরে বুধবার দুপুরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পরিচয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।’