মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, দেশের প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজে গিয়ে যে বিষয়গুলো দেখলাম- জানলাম তা অপূর্ব এবং অত্যন্ত সৃজনশীল। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শুধু বাংলাদেশ না, পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে যে কোন দেশের সাথে তুলনা করতে পারি। এক কথায় বলা চলে ‘দূর্গম পাহাড়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা সুগম করেছে কোয়ান্টাম’। শনিবার বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র শাফিয়ান, স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম ও কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকৈ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের খ্যাতনামা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে জেনে সচিব লোকমান হোসেন মিয়া সন্তোষ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে, তার প্রমাণ কোয়ান্টামে গিয়ে দেখলাম’। পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শাহরিয়ার কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচীর পরিচালক ডা. শামসুল হক, বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মার্মা, সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভুঞা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার, সহকারী কমিশনার (ভুমি) কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মহি উদ্দিন মাজেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সব শেষে কোয়ান্টাম শিক্ষার্থীদের প্যারেড, ডিসপ্লে, ব্যান্ড ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মাত্র ৭জন মুরুং সম্প্রদায়ের শিশুকে নিয়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এখানে জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে আড়াই হাজারেরও বেশি শিশু কিশোর শিক্ষার্থী বিনামূল্যে পড়াশোনা করছে।