বিনোদন ডেস্ক:
অভিনয়, শিক্ষকতা কিংবা পড়াশোনা- সবকিছুতেই দুর্দান্ত মানুষটির নাম রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তাকে অভিনেত্রী হিসেবেই সবাই চিনলেও অনেকে হয়তো জানেন না অভিনয়ের বাইরে তিনি চাকুরীও করেন। ব্রাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-এর প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।

মূলত তারকা খ্যাতির কারণেই তার এই পরিচয় ঢাকা পড়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কাজে সূদুর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে অবস্থান করছেন। ব্যস্ততার এক ফাঁকে সেখান থেকেই এক জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেন মিথিলা। সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো-

সিয়েরা লিওনে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? মিথিলা বলেন, শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের সহায়তা করার জন্যই এখানে আসা। আমাদের প্রতিষ্ঠান ব্রাক ইন্টারন্যাশনাল সিয়েরা লিওন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে।

কী কী কাজ করতে হচ্ছে? মিথিলা বলেন, প্রথম সপ্তাহটা মন্ত্রণালয়ের স্টাফদের সঙ্গে কর্মশালা করেছি। এই সপ্তাহটা ফিল্ড ভিজিট ও আরও বিভিন্ন মিটিংয়ে যাবে।

চাকুরি আর অভিনয় দুইটা একসঙ্গে বহু বছর ধরে করছেন। কোন পেশাটা প্রাধান্য পায় বেশি? মিথিলা বলেন, মাস্টার্স শেষ করেই ব্রাকে জয়েন করি। আর অভিনয়টা তো ছাত্রজীবন থেকেই করছি। যদিও ব্রাকের কাজটাই আমার প্রধান পেশা। সেটাকে প্রাধান্য বেশি দেই। তার মাঝেই সময় বের করে অভিনয় করি। কিন্তু কোনোটাকে ছাড়বো বা ছেড়ে দিতে পারবো বলে মনে হয় না। কারণ চাকুরি, অভিনয় দুটোই আমার কাছে পেশার থেকে নেশা বেশি।

শিশুদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজের ভেতর নতুন কোনো উপলব্ধি এসেছে? এ অভিনেত্রী বলেন, ১৪ বছর ধরে শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। ব্রাকেই ১৩ বছর। এছাড়া শিক্ষকতা করেছি। শিশুদের নিয়েই আমি সারাজীবন কাজ করেছি। উপলদ্ধি আসলে নতুন কিছু নয়। আমার কাছে মনে হয়, শিশুরা বড়দের থেকে অনেক বেশি বোঝে। সেই বুঝটা সরলতার সঙ্গে হয়। কারণ শিশুরা সরল! তাদের মধ্যে প্যাচঘোচ নেই। এটা একটা বিস্ময়কর জিনিস। যার কারণে শিশুদের অনেক বেশি কানেকটেড করতে পারি। কারণ আমি নিজে প্যাচঘোচ কম বুঝি।

দেশে ফিরবেন কবে? মিথিলা বলেন, এই মাসের শেষেই ইনশাল্লাহ দেশে ফিরবো।

ফিরেই তো হাতে থাকা সিনেমার কাজ গুলোতে হাত দেবেন? অভিনেত্রীর উত্তর- কলকাতার ‘নীতিশাস্ত্র’ সিনেমার ডাবিং বাকি। সেই ডাবিংটা করতে হয়তো কলকাতায় যেতে হবে। আর বাংলাদেশে ‘জলে জ্বলে তারা’ নামে যে সিনেমাটা করলাম, সেই সরকারি অনুদানের সিনেমারও ডাবিং শেষ হয় নি। সেটারও কাজ আছে। ফিরে এই কাজগুলো শেষ করবো।