সিবিএন ডেস্ক
সম্মানসূচক অস্কার পেলেন হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ। ১৬ নভেম্বর অ্যাকাডেমির গভর্নরস অ্যাওয়ার্ডসে তার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন পরিচালক আলেহান্দ্রো জি. ইনারিতু।
টমক্রুজ ছাড়াও কোরিওগ্রাফার-অভিনেত্রী ডেবি অ্যালেন, প্রোডাকশন ডিজাইনার উইন থমাস, সংগীতশিল্পী-মানবাধিকারকর্মী ডলি পার্টনের হাতে সম্মানসূচক অস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অস্কার গ্রহণের পর বিশ্বজুড়ে দর্শকদের সঙ্গে কীভাবে তার গভীর সংযোগ তৈরি করেছে, তা নিয়ে কথা বলেন টম ক্রুজ। বলতে বলতে একপর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ৬৩ বছর বয়সী তারকা। পর্দার সামনে-পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রমে যারা সিনেমা তৈরি করেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
আরও পড়ুন
শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজানো হচ্ছে: উপাচার্য
এই অভিনেতা বলেন, সিনেমা আমাকে সারা পৃথিবী ঘুরিয়েছে। আমাকে এটি বিভিন্ন সংস্কৃতি ও মতপার্থক্যের প্রতি সম্মান করতে শিখিয়েছে। আমরা যেখান থেকেই আসি না কেন, প্রেক্ষাগৃহের ভেতরে একসঙ্গে হাসি, কাঁদি, আশায় বুক বাঁধি। আর এটাই সিনেমার শক্তি। এ কারণেই আমার কাছে এটি এত গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমা বানানো শুধু আমার পেশা নয়, এটাই আমার পরিচয়।
এরপর নিজের শৈশবে ফিরে যান টম ক্রুজ। খুব ছোটবেলায় কীভাবে সিনেমা তাকে বিস্মিত করেছিল, নতুন করে চিন্তার খোরাক জুগিয়েছিল, সে কথা তুলে ধরেন এই অভিনেতা।
তিনি বলেন, অল্প বয়সেই সিনেমার প্রেমে পড়ি। অন্ধকার হলে প্রজেক্টরের আলো যখন পর্দায় বিস্ফোরণ ঘটাত, মনে হতো, পরিচিত পৃথিবীর বাইরে আরেকটা বিশাল জগৎ খুলে যাচ্ছে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, জীবন, প্রকৃতি—সবই যেন নতুন করে চোখ খুলে দিত। সেই আলোই আমার ভেতর জাগিয়ে তোলে কৌতূহল, দুঃসাহসিকতার ক্ষুধা, জ্ঞানার্জনের আগ্রহ, মানবতাকে বোঝার তাগিদ আর গল্প বলার আকাঙ্ক্ষা।
তিনি আরও বলেন, শৈশবে পর্দায় দেখা সেই আলোর রেখাই আমাকে দেখিয়েছে, চাইলেই নিজের সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। আমি তখন থেকেই সেই আলোকে অনুসরণ করে চলেছি।
