বিনোদন প্রতিবেদক:
ক্রীড়া সাংবাদিকরা যেমন লেখায় পটু; তেমনি খেলাধুলাতেও কম পারদর্শী নন! মার্সেল-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভালে সেটাই আরেকবার প্রমাণ করলেন তারা। ক্রীড়া সাংবাদিকদের সবচেয়ে প্রাচীন-পুরনো সংগঠন (১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত) বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও সংগঠনটি তাদের সদস্যদের জন্য আয়োজন করে বার্ষিক ক্রীড়া উৎসব ‘বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভালের।’ ৬ষ্ঠবারের মতো মার্সেলের পৃষ্ঠপোষকতায় গেল ১০দিন ব্যাপী এই আয়োজনের গতকাল ১৫ নভেম্বর ছিল সমাপনী এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা, গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস (মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনস) এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম অংশে পুরস্কার বিতরণী; এরপর সময়ের আলোচিত ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ারের (ডন) একক লাইভ কনসার্ট। অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে ছিল খাওয়া-দাওয়া পর্ব। সবমিলে অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণই ছিল ডনের সঙ্গীতানুষ্ঠান। গান গেয়ে দর্শক মাতিয়ে নিজের সঙ্গীত প্রতিভাকে আরো একবার তুলে ধরলেন শিল্পী ডন।
হেমন্তের হৈমশীতল আবহাওয়াটা কাল গান গেয়ে একেবারে গরম করে তোলেন ডন। পল্টনস্থ এম মনসুর আলী স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা ডনের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত হয়ে পড়েন। এই স্টেডিয়ামে এর আগেও লাইভ কনসার্টে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই সব অনুষ্ঠানেও রীতিমতো সুর-সঙ্গীতে ঝড় তুলেছিলেন সময়ের আলোচিত এই শিল্পী। মাসখানেকের ব্যবধানে পল্টন ময়দানেই দু-তিনটা লাইভ কনসার্টে এরই মধ্যে অংশ নেয়া হয়ে গেছে ডনের। সেসব অনুষ্ঠানেও শ্রোতাদের সুরের জাদুতে বিমোহিত করেন তিনি। কাল বিএসপিএ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানেও আরেকবার শ্রোতাদের মন কাড়লেন। মৌলিক গানের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পীর শ্রুতিমধুর সব গান পরিবেশন করেন ডন। কুমার বিশ্বজিতের জনপ্রিয় গান ‘তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে’- এর মুখরা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন শিল্পী ডন। এরপর প্রয়াত খালিদ হাসান মিলুর গাওয়া বাংলা সঙ্গীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গান ‘তুমি বুকে টেনে নাও প্রিয় আমাকে, আমি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমাকে’ গেয়ে শোনান। এই গানের পর পরই একের পর এক অনুরোধের গান আসতে থাকে। কেউ মান্না দে’র গান শোনার অনুরোধ রাখেন তো; কেউ শিল্পীর গাওয়া মৌলিক গানগুলো শুনতে চেয়ে অনুরোধ জানান।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত লাইভ কনসার্টটি দেশাত্ববোধক গান দিয়ে ইতি টানার আগে মোট ১৫/১৬টি গান পরিবেশন করেন শিল্পী ডন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, তোমার ঘরে বাস করে কারা ও মন জানো না, নদী কান্দে জলের লাগি যদি খরা লাগে, আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার বারিস্টার, আমি কেমন কইরা ভুইল্যা যাইব এক জনমে হায়, ও চাঁদ সামলে রেখো জোছনাকে, আছো তুমি মহাসুখে কার বুকে কোথায়, আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো, পরানে পরান বাইন্ধ্যা নয়নে নয়ন, মন আমার তোমার কথাই কয় ও সজনী, সবাই তো ভালোবাসা চায় কেউ পায় কেউ বা হারায় তাতে প্রেমিকের কি আসে যায়সহ আরো বেশি কিছু গান। অনুষ্ঠানটি দেখতে শুধু ক্রীড়া সাংবাদিকরা নন অনেক খেলোয়াড় কর্মকর্তাদেরও দেখা যায়। বিশেষ করে হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে থাকা কাবাডি খেলোয়াড়রা রীতিমতো নেচে গেয়ে শিল্পীকে উৎসাহিত করেন। শিল্পী ডনকে উৎসাহ দিতে এদিন দর্শকসারিতে তার মা, বোনসহ আত্মীয়-বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।