রামু প্রতিনিধি :
রামু উপজেলার চাকমারকুলে নির্বাচনে পরাজয়ের জেরে একাধিক ব্যক্তিকে মারধর এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে প্রকাশ্যে হুমকী দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম ও তার সমর্থকরা এ হামলা ও হুমকী দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
বৃহষ্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় তার প্রতিদ্বন্ধি আনারস প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকটি গ্রামে গিয়ে ভোটারদের মারধর ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হুমকী-ধমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় বর্তমানে পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নুরুল আলম ও তার সহযোগিদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন- চাকমারকুল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের জারাইলতলী এলাকার আবুল হোছনের ছেলে সাহাব উদ্দিন, ৬ নং ওয়ার্ডের পুর্ব মোহাম্মদপুরা এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে দেলোয়ার। তারা জানান- শুক্রবার বেলা আড়াইটা ও তিনটার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম কয়েকজন সহযোগিকে নিয়ে এসে তাদের ভোট কেন দেয়নি বলে কিল ঘুষি দিতে শুরু করে। তার স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানান।
চাকমারকুল ৫নং ওয়ার্ডের বড়ুয়াপাড়া এলাকার কানুনগো বড়ুয়া স্ত্রী রিনা বড়ুয়া, ধীরেন্দ্র বড়ুয়ার স্ত্রী অরুনা বড়ুয়া, মৃত বানু বড়ুয়ার স্ত্রী করোনা বড়ুয়া ও রাখাল বড়ুয়ার স্ত্রী প্রণতি বড়ুয়া জানিয়েছেন- বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম ও তার সহযোগি আলমগীর, সাহাব উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন সহ একদল লোকজন নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। এসময় নুরুল আলম ও তার সহযোগিরা বড়ুয়া সম্প্রদায়কে দেখে নেয়ার এবং বাড়ি ছাড়া করার হুমকী দেয়। এসময় তারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল গাল-মন্দ করে। প্রকাশ্যে এভাবে হুমকী দেয়ার পর থেকে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা বিষয়টি চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদারকে তাৎক্ষণিক অবহিত করে। বিকালে চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার এবং নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা স্ট্রাইকিং ফোর্সের উপ-পরিদর্শক মাসুদ ফয়সাল ওই এলাকায় যান।
চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানিয়েছেন- পরাজিত প্রার্থী নুরুল আলম শুক্রবার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হুমকী-ধমকি দিতে শুরু করেছে। এছাড়া ভোট না দেয়ার অুজহাতে একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করে আহত করেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।